ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ প্রধান বিচারপতির সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাত রংপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা: ১ লাখ টাকা জরিমানা ১১ জুলাই কুবিতে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে পীরগাছায় বদলি সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সেক্রেটারির সাক্ষাৎ শিক্ষার্থীদের ‘লাথি-ঘুষি মারা’ সেই ওসি বদলি মামলা জট কমানো, ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আমেরিকা শুল্ক না কমালে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব প্রভাব পড়বে: বাণিজ্য সচিব 

‘বাবা’ একটি অলিখিত উপন্যাস

সাজিদুর রহমান, কুবি
  • Update Time : ১২:২৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ৮৯৫ Time View

চোখে ঘুম জমার আগেই যিনি দিনের চিন্তায় বিভোর হন, যিনি ক্লান্ত শরীর নিয়েও প্রতিদিন ফিরেন একটা নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতের আশ্বাস হয়ে—তিনি আমাদের বাবা। মায়ের ভালোবাসা মুখর, বাবার ভালোবাসা নীরব; কিন্তু তীব্রতায় কোনো অংশেই কম নয়। এই নিরবে ভালোবাসার মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালন করা হয় ‘বাবা দিবস’।

এই দিনটি যেন এক অন্তরঙ্গ উপলক্ষ—বাবাকে নতুন করে অনুভব করার, তাঁর প্রতি অসমাপ্ত বলা ভালোবাসার কথা গুছিয়ে বলার। দিবসটিতে নিজের বাবাকে স্মরণে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে।

“বাবা, তুমি ছিলে আমার প্রথম ভালোবাসা”

“বাবা” শব্দের গভীরতা কেবল সে সন্তানেরাই বুঝতে পারে, যাদের জীবনে বাবা এখন শুধুই স্মৃতি। আমার বাবা ছিলেন আমার গর্ব, আমার শক্তি, আমার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। প্রতিটি মেয়ের জীবনে প্রথম ভালোবাসার মানুষ তার বাবা—আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

আমার ইচ্ছে ছিল বাইক চালানোর, আর সেই ইচ্ছে পূরণ করেছিলো বাবা। নিজে শিখিয়েছিলো আমাকে বাইক চালাতে। আমি যখন একটা জিনিস চাইতাম, বাবা দশটা এনে দিতেন। এমনও হয়েছে—আমি কিছু বলার আগেই তিনি বুঝে নিয়েছেন, এনে দিয়েছেন।

আজ আফসোস হয়—কখনো তাকে মুখ ফুটে বলতে পারিনি, “বাবা, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।” বুকের ভেতর এখন শুধু কষ্ট জমে—সব কথা কেন বলা হয় না সময় থাকতে? কেন গড়ে ওঠে দূরত্ব?

সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা—পৃথিবীর প্রতিটি বাবা যেন সুস্থ, ভালো এবং দীর্ঘজীবী থাকেন। কারণ, একবার বাবা হারিয়ে গেলে জীবন থেকে অনেকখানি ভরসা চিরদিনের মতো হারিয়ে যায়।

খাদিজা ইয়াসমিন নেয়ামা
শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ,
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

“বাবা, তুমি আমার জীবনের ছায়াবৃক্ষ”

এক শীতের সকালে বাবাকে পোটলি হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলাম। তখন মাত্র ফজরের নামাজের জন্য উঠেছি। জানতে পারলাম, বাবা নামাজ শেষে জমিতে যাবেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি ফেরেননি। মাকে জিজ্ঞেস করলে বললেন, “তোর বাবা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠেই কাজ করেন।” শুনে চোখের কোণে জল চলে এলো—এই মানুষটিই প্রতিদিন নিঃশব্দে কষ্ট করেন আমাদের মুখে এক চিলতে হাসি দেখতে।

ছোটবেলায় বাবার আদুরে হাতের ছোঁয়ায় ভরসা পেতাম, আর তাঁর কথাগুলো—”বড় হতে হবে, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে”—আজও কানে বাজে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি, বাবা শুধু উপার্জনের মানুষ নন, তিনি আমার স্বপ্নযাত্রার নির্ভরতম সহযাত্রী।

আজও বাবার ক্লান্ত চোখে লুকানো উদ্বেগ, নিঃশব্দ ত্যাগ আর মুখের হাসির আড়ালের ভালোবাসা ভাবলে মন কেঁদে ওঠে। তিনি আমার আশ্রয়, আমার শক্তি, আমার গর্ব।

এই বিশেষ দিনে আমাদের উচিত বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা—হোক না সেটা একটি আলিঙ্গন, একটি “ধন্যবাদ” কিংবা কিছুটা সময় দেওয়া। আমরা যারা এখনো বাবার ছায়ায় আছি, তারা ভাগ্যবান। আর যারা তাঁকে হারিয়েছি, তাঁদের হৃদয়ে তিনি থাকেন চিরন্তন স্মৃতি হয়ে।

সাইফুল অনিক
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

“বাবা, তুমি আমার জীবনের অলিখিত নায়ক”

বাবা আমার জীবনের প্রথম গুরু, প্রথম বন্ধু। তুমি না থাকলে জীবনটা এত সহজ হতো না কখনো। তোমার নিঃশব্দ ত্যাগ, সীমাহীন পরিশ্রম আর মমতার ছায়াতেই আজ আমরা সুখের আলো দেখছি। তোমার কাঁধে চড়ে আমি প্রথম পৃথিবীটাকে দেখেছি—নিরাপদ, উচ্ছ্বসিত আর স্বপ্নময়।

বাবা,তোমার নির্দেশনা, পরামর্শ আর ভালোবাসা সঙ্গে নিয়েই আমি এখন তোমার দেখানো পথে হেঁটে যাচ্ছি—তোমার স্বপ্নগুলো পূরণের লক্ষ্যে। সেই পথচলায় তুমি যেন শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছায়ার মতো পাশে থাকো।

তুমি ছাড়া জীবনটা হতো একলা, নির্জন। হাঁটতে শেখার সময় যে আঙুল ধরেছিলাম, সেটাই আজও পথ দেখায়। জীবনের প্রতিটি হোঁচটে, প্রতিটি দুঃখে তুমি আড়াল থেকে আগলে রেখেছো আমাকে। সেই সেবার স্পর্শ, কপালে আদরের চুমু—এসব আজো হৃদয়ে গেঁথে আছে।

যদি কোনো নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়, তবে মনে রেখো—সবচেয়ে বড় নায়ক, সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা আমাদের বাবারা। তাঁদের নাম নেই, খ্যাতি নেই, কিন্তু তাঁরা অলিখিত নায়ক—আমাদের জীবনের আসল পথপ্রদর্শক।

মাওয়া মারিয়া
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।

“বাবা, নিঃশব্দ ভালোবাসার এক আশ্রয়”

ছোটবেলায় ভাবতাম, বাবা হয়তো মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এখন বুঝি—তিনি নিজের চেয়ে সন্তানের তৃপ্তিকেই বড় করে দেখতেন। বাবা সত্যিই এক বটবৃক্ষের মতো—রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নিঃস্বার্থ ছায়া দিয়ে যান। তিনি কখনো সূর্যের মতো নিজের কষ্টে আমাদের জীবনে আলো জ্বালান, আবার কখনো পাহাড়ের মতো—নীরব, দৃঢ়, অটল।

ছোটবেলায় হোঁচট খেলে বাবা বলতেন, “আবার উঠে দাঁড়াও।” আজ বুঝি—সেই কথার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল জীবনজয়ের পাঠ। বাবার ভালোবাসা শব্দে নয়, প্রকাশ পায় তাঁর প্রতিটি কাজে, প্রতিটি ত্যাগে।

বাবাকে কোনোদিন জড়িয়ে ধরে বলতে পারিনি—“তোমাকে খুব ভালোবাসি, বাবা।” আজ তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা—পৃথিবীর সকল বাবা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, আমাদের আশ্রয় হয়ে হাজার বছর বেঁচে থাকুন।

মেহেদী হাসান টিপু
শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

Please Share This Post in Your Social Media

‘বাবা’ একটি অলিখিত উপন্যাস

সাজিদুর রহমান, কুবি
Update Time : ১২:২৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

চোখে ঘুম জমার আগেই যিনি দিনের চিন্তায় বিভোর হন, যিনি ক্লান্ত শরীর নিয়েও প্রতিদিন ফিরেন একটা নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতের আশ্বাস হয়ে—তিনি আমাদের বাবা। মায়ের ভালোবাসা মুখর, বাবার ভালোবাসা নীরব; কিন্তু তীব্রতায় কোনো অংশেই কম নয়। এই নিরবে ভালোবাসার মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালন করা হয় ‘বাবা দিবস’।

এই দিনটি যেন এক অন্তরঙ্গ উপলক্ষ—বাবাকে নতুন করে অনুভব করার, তাঁর প্রতি অসমাপ্ত বলা ভালোবাসার কথা গুছিয়ে বলার। দিবসটিতে নিজের বাবাকে স্মরণে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে।

“বাবা, তুমি ছিলে আমার প্রথম ভালোবাসা”

“বাবা” শব্দের গভীরতা কেবল সে সন্তানেরাই বুঝতে পারে, যাদের জীবনে বাবা এখন শুধুই স্মৃতি। আমার বাবা ছিলেন আমার গর্ব, আমার শক্তি, আমার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। প্রতিটি মেয়ের জীবনে প্রথম ভালোবাসার মানুষ তার বাবা—আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

আমার ইচ্ছে ছিল বাইক চালানোর, আর সেই ইচ্ছে পূরণ করেছিলো বাবা। নিজে শিখিয়েছিলো আমাকে বাইক চালাতে। আমি যখন একটা জিনিস চাইতাম, বাবা দশটা এনে দিতেন। এমনও হয়েছে—আমি কিছু বলার আগেই তিনি বুঝে নিয়েছেন, এনে দিয়েছেন।

আজ আফসোস হয়—কখনো তাকে মুখ ফুটে বলতে পারিনি, “বাবা, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।” বুকের ভেতর এখন শুধু কষ্ট জমে—সব কথা কেন বলা হয় না সময় থাকতে? কেন গড়ে ওঠে দূরত্ব?

সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা—পৃথিবীর প্রতিটি বাবা যেন সুস্থ, ভালো এবং দীর্ঘজীবী থাকেন। কারণ, একবার বাবা হারিয়ে গেলে জীবন থেকে অনেকখানি ভরসা চিরদিনের মতো হারিয়ে যায়।

খাদিজা ইয়াসমিন নেয়ামা
শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ,
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

“বাবা, তুমি আমার জীবনের ছায়াবৃক্ষ”

এক শীতের সকালে বাবাকে পোটলি হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলাম। তখন মাত্র ফজরের নামাজের জন্য উঠেছি। জানতে পারলাম, বাবা নামাজ শেষে জমিতে যাবেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি ফেরেননি। মাকে জিজ্ঞেস করলে বললেন, “তোর বাবা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠেই কাজ করেন।” শুনে চোখের কোণে জল চলে এলো—এই মানুষটিই প্রতিদিন নিঃশব্দে কষ্ট করেন আমাদের মুখে এক চিলতে হাসি দেখতে।

ছোটবেলায় বাবার আদুরে হাতের ছোঁয়ায় ভরসা পেতাম, আর তাঁর কথাগুলো—”বড় হতে হবে, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে”—আজও কানে বাজে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি, বাবা শুধু উপার্জনের মানুষ নন, তিনি আমার স্বপ্নযাত্রার নির্ভরতম সহযাত্রী।

আজও বাবার ক্লান্ত চোখে লুকানো উদ্বেগ, নিঃশব্দ ত্যাগ আর মুখের হাসির আড়ালের ভালোবাসা ভাবলে মন কেঁদে ওঠে। তিনি আমার আশ্রয়, আমার শক্তি, আমার গর্ব।

এই বিশেষ দিনে আমাদের উচিত বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা—হোক না সেটা একটি আলিঙ্গন, একটি “ধন্যবাদ” কিংবা কিছুটা সময় দেওয়া। আমরা যারা এখনো বাবার ছায়ায় আছি, তারা ভাগ্যবান। আর যারা তাঁকে হারিয়েছি, তাঁদের হৃদয়ে তিনি থাকেন চিরন্তন স্মৃতি হয়ে।

সাইফুল অনিক
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

“বাবা, তুমি আমার জীবনের অলিখিত নায়ক”

বাবা আমার জীবনের প্রথম গুরু, প্রথম বন্ধু। তুমি না থাকলে জীবনটা এত সহজ হতো না কখনো। তোমার নিঃশব্দ ত্যাগ, সীমাহীন পরিশ্রম আর মমতার ছায়াতেই আজ আমরা সুখের আলো দেখছি। তোমার কাঁধে চড়ে আমি প্রথম পৃথিবীটাকে দেখেছি—নিরাপদ, উচ্ছ্বসিত আর স্বপ্নময়।

বাবা,তোমার নির্দেশনা, পরামর্শ আর ভালোবাসা সঙ্গে নিয়েই আমি এখন তোমার দেখানো পথে হেঁটে যাচ্ছি—তোমার স্বপ্নগুলো পূরণের লক্ষ্যে। সেই পথচলায় তুমি যেন শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছায়ার মতো পাশে থাকো।

তুমি ছাড়া জীবনটা হতো একলা, নির্জন। হাঁটতে শেখার সময় যে আঙুল ধরেছিলাম, সেটাই আজও পথ দেখায়। জীবনের প্রতিটি হোঁচটে, প্রতিটি দুঃখে তুমি আড়াল থেকে আগলে রেখেছো আমাকে। সেই সেবার স্পর্শ, কপালে আদরের চুমু—এসব আজো হৃদয়ে গেঁথে আছে।

যদি কোনো নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়, তবে মনে রেখো—সবচেয়ে বড় নায়ক, সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা আমাদের বাবারা। তাঁদের নাম নেই, খ্যাতি নেই, কিন্তু তাঁরা অলিখিত নায়ক—আমাদের জীবনের আসল পথপ্রদর্শক।

মাওয়া মারিয়া
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।

“বাবা, নিঃশব্দ ভালোবাসার এক আশ্রয়”

ছোটবেলায় ভাবতাম, বাবা হয়তো মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এখন বুঝি—তিনি নিজের চেয়ে সন্তানের তৃপ্তিকেই বড় করে দেখতেন। বাবা সত্যিই এক বটবৃক্ষের মতো—রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নিঃস্বার্থ ছায়া দিয়ে যান। তিনি কখনো সূর্যের মতো নিজের কষ্টে আমাদের জীবনে আলো জ্বালান, আবার কখনো পাহাড়ের মতো—নীরব, দৃঢ়, অটল।

ছোটবেলায় হোঁচট খেলে বাবা বলতেন, “আবার উঠে দাঁড়াও।” আজ বুঝি—সেই কথার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল জীবনজয়ের পাঠ। বাবার ভালোবাসা শব্দে নয়, প্রকাশ পায় তাঁর প্রতিটি কাজে, প্রতিটি ত্যাগে।

বাবাকে কোনোদিন জড়িয়ে ধরে বলতে পারিনি—“তোমাকে খুব ভালোবাসি, বাবা।” আজ তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা—পৃথিবীর সকল বাবা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, আমাদের আশ্রয় হয়ে হাজার বছর বেঁচে থাকুন।

মেহেদী হাসান টিপু
শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।