ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করলো ভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১০ Time View

বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে জেএন রায় হাসপাতালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলো ভারতের চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমে)। বুধবার (৩ ডিসেস্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন আইএমএ’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী।

তারা বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দেশের জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢোকা এবং রোগী না দেখা চিকিৎসা নিয়মের পরিপন্থি। চিকিৎসকদের কাছে সব রোগী রোগীই। চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম ও দেশ হয় না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশিদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। তাদের চিকিৎসা দিতেই হবে।

আইএমএ’র দুই সদস্য আরও বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন, তেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিকেল টুরিজিম। তবে অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে মনে করছে আইএমএ।

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসক সংগঠনটি। ওই নম্বরে রোগীরা ফোন করলে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন।

এর আগে, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবে না। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে আহ্বান করছেন, ভারতের বাকি চিকিৎসকরাও যেন সাময়িক এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যদিও এমন সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এমন আচরণ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করবো না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।

ডিডি/কেএএ/

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করলো ভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৩:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে জেএন রায় হাসপাতালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলো ভারতের চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমে)। বুধবার (৩ ডিসেস্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন আইএমএ’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী।

তারা বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দেশের জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢোকা এবং রোগী না দেখা চিকিৎসা নিয়মের পরিপন্থি। চিকিৎসকদের কাছে সব রোগী রোগীই। চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম ও দেশ হয় না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশিদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। তাদের চিকিৎসা দিতেই হবে।

আইএমএ’র দুই সদস্য আরও বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন, তেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিকেল টুরিজিম। তবে অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে মনে করছে আইএমএ।

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসক সংগঠনটি। ওই নম্বরে রোগীরা ফোন করলে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন।

এর আগে, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবে না। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে আহ্বান করছেন, ভারতের বাকি চিকিৎসকরাও যেন সাময়িক এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যদিও এমন সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এমন আচরণ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করবো না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।

ডিডি/কেএএ/