বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স
দোকান ভাড়া কমানোর দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের
- Update Time : ১১:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ৬৫ Time View
রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দোকান ভাড়া কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দিনভর মার্কেটটির সামনের সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ শপিং কমপ্লেক্সের ইনচার্জের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। তাদের অবস্থানের কারণে কারওয়ান বাজার মোড় থেকে পান্থপথ সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়ক ব্যবহারকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া টেলিকম ব্যবসায়ী ওসমান গনি বলেন, বসুন্ধরা সিটির ফোন ব্যবসায়ীরা খুব বাজে অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় থাকা মোবাইল ফোনের দোকানগুলো সরিয়ে বেজমেন্টে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ক্রেতা পাওয়া কঠিন। সবাই লোকসানের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে দফায় দফায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো ফল হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা মার্কেটের সামনে জড়ো হন। এর পর তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরাও এসে যোগ দেন। এতে পান্থপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নিচতলার দোকান ভাড়া ছিল ৫০-৬০ হাজার টাকা। বেজমেন্টে পাঠানোর সময় আমাদের বলা হলো ২০০ টাকা বর্গফুট হিসেবে ভাড়া নেওয়া হবে। তাতে ভাড়া হওয়ার কথা ৩০-৩৫ হাজার টাকা। অথচ এখন ভাড়া গুনতে হচ্ছে দোকানের আয়তনভেদে ১ থেকে ২ লাখ টাকা। এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা, তার ওপর এমন ভাড়া দিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান করছে না। তারা শপিংমলের ইনচার্জ মহসিন করিমেরও পদত্যাগ চান। এ ছাড়া আগের দোকানগুলোই পুনঃবরাদ্দের দাবি করেন।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে যান সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। পরে মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের একটি প্রতিনিধি দল বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে যান। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মহাব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেন ব্যবসায়ীরা। তাদের একজন জানান, গতকাল আলোচনা হয়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে তাদের পরবর্তী করণীয়। ইনচার্জ এখনও পদত্যাগ করেননি।