ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘূর্ণিঝড় মোখা,

বরিশালে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ১৫০ Time View

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চের পাশাপাশি আজ শনিবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত আওতায় রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার মেঘনা নদী কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলেছে, এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল নৌরুটসহ সব রুটের ফেরিসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ভোলার মেঘনায় কোস্টগার্ড সদস্যরা জেলে ট্রলারে ও নদীর তীরে জেলেদের সাধারণ মনুষের মাঝে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সচেতন করেন। তিনি আরও জানান, ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থাকায় রাত ১০টার পর থেকে লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ১০টার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে ভোলার ভেদুরিয়া, ইলিশাসহ সব লঞ্চঘাটে এ সংবাদ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।সন্ধ্যার দিকে ভোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকা থেকে হাতিয়া, মনপুরা ও বেতুয়া রুটের লঞ্চ ছেড়ে আসেনি।

 

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল অঞ্চলের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বরিশাল নদীবন্দর এলাকার আশপাশ থেকে বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী স্পিডবোটগুলোর চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে।
নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের অনেক যাত্রী বরিশালে আটকা পড়েছেন। বিকল্প পথে তাঁদের গন্তব্যে ফেরার কোনো ব্যবস্থাও নেই। তাই আজ সকালে বরিশাল নদীবন্দরে এসে ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ দূরবর্তী নৌপথের অনেক যাত্রীদের বন্দর থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। সতর্ক সংকেত থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ট্রলারগুলো চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে এসে নোঙ্গর করেছে। ছবিটি চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে তোলা।

এদিকে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৩ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

ঘূর্ণিঝড় মোখা,

বরিশালে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

Reporter Name
Update Time : ০৬:৩০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চের পাশাপাশি আজ শনিবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত আওতায় রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার মেঘনা নদী কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলেছে, এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল নৌরুটসহ সব রুটের ফেরিসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ভোলার মেঘনায় কোস্টগার্ড সদস্যরা জেলে ট্রলারে ও নদীর তীরে জেলেদের সাধারণ মনুষের মাঝে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সচেতন করেন। তিনি আরও জানান, ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থাকায় রাত ১০টার পর থেকে লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ১০টার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে ভোলার ভেদুরিয়া, ইলিশাসহ সব লঞ্চঘাটে এ সংবাদ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।সন্ধ্যার দিকে ভোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকা থেকে হাতিয়া, মনপুরা ও বেতুয়া রুটের লঞ্চ ছেড়ে আসেনি।

 

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল অঞ্চলের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বরিশাল নদীবন্দর এলাকার আশপাশ থেকে বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী স্পিডবোটগুলোর চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে।
নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের অনেক যাত্রী বরিশালে আটকা পড়েছেন। বিকল্প পথে তাঁদের গন্তব্যে ফেরার কোনো ব্যবস্থাও নেই। তাই আজ সকালে বরিশাল নদীবন্দরে এসে ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ দূরবর্তী নৌপথের অনেক যাত্রীদের বন্দর থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। সতর্ক সংকেত থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ট্রলারগুলো চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে এসে নোঙ্গর করেছে। ছবিটি চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে তোলা।

এদিকে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৩ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।