বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা
- Update Time : ০৪:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৩ Time View
চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে (৪ জানুয়ারি) দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে নিশাত মণি।
এর আগে, তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এফডিসিতে, যেখানে চলচ্চিত্রের অনেক পরিচিত মুখ উপস্থিত ছিলেন। এফডিসিতে ছিল তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের স্মৃতি, যেখানে তিনি একসময় কিশোরী বয়সে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা হয়, এবং পরে তাকে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
অঞ্জনার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেক তারকা, নির্মাতা, এবং পরিচালক এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানান। সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা স্মৃতিচারণ করে বিদায় জানায়। তার পরিবারও দোয়া প্রার্থনা করেন উপস্থিত সকলের কাছে।
অঞ্জনা রহমান ৩ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চার দশকের ক্যারিয়ারে অঞ্জনা তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে চিত্রজগতে পথচলা শুরু করেন। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘গাংচিল’ (১৯৮২) এবং ‘পরিণীতা’ (১৯৮৬) ছিল, যেগুলোর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।