ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত: ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল যুবসমাজ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ প্রধান বিচারপতির সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাত রংপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা: ১ লাখ টাকা জরিমানা ১১ জুলাই কুবিতে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে পীরগাছায় বদলি সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সেক্রেটারির সাক্ষাৎ শিক্ষার্থীদের ‘লাথি-ঘুষি মারা’ সেই ওসি বদলি মামলা জট কমানো, ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩০৯ Time View

সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টর কে অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।

এদিকে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিক নামে তার সহপাঠি ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করে যান।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।

এবিষয়ে ছাত্র আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি। তবে পোস্টে নাম উল্লেখ করা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে দেখি ১ থেকে দেড় বছর আগে। তারা কয়েকজন সহপাঠি প্রক্টর অফিসে আসে। সেসময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমিসহ আরো কয়েকজন সহকারি প্রক্টর অফিসে ছিল। মেয়েটা ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের এসএমএস দিত। এটা নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়। পরে মেয়েটা স্বীকার করে। এরপর তার পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে জিডি তুলে নেবার জন্য। তখন সকল প্রক্টরিয়াল টিম মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়, তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোন ঝামেলা না হলে জিডি তুলে নেয়া হবে। আমি কখনো মেয়েটার সঙ্গে একা কথা বলিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বা প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেখলেও বুঝা যাবে। আপনারা ঘটনা তদন্ত করে দেখুন। আমি দোষী হলে শাস্তি দিন। কিন্তু আগেই আমাকে দোষী বানাবেন না দয়া করে। না হলে আমারও সুইসাইড করা লাগবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যদের নাম উল্লেখ করেছে। মাননীয় উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টর কে অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।

এদিকে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিক নামে তার সহপাঠি ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করে যান।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।

এবিষয়ে ছাত্র আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি। তবে পোস্টে নাম উল্লেখ করা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে দেখি ১ থেকে দেড় বছর আগে। তারা কয়েকজন সহপাঠি প্রক্টর অফিসে আসে। সেসময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমিসহ আরো কয়েকজন সহকারি প্রক্টর অফিসে ছিল। মেয়েটা ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের এসএমএস দিত। এটা নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়। পরে মেয়েটা স্বীকার করে। এরপর তার পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে জিডি তুলে নেবার জন্য। তখন সকল প্রক্টরিয়াল টিম মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়, তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোন ঝামেলা না হলে জিডি তুলে নেয়া হবে। আমি কখনো মেয়েটার সঙ্গে একা কথা বলিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বা প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেখলেও বুঝা যাবে। আপনারা ঘটনা তদন্ত করে দেখুন। আমি দোষী হলে শাস্তি দিন। কিন্তু আগেই আমাকে দোষী বানাবেন না দয়া করে। না হলে আমারও সুইসাইড করা লাগবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যদের নাম উল্লেখ করেছে। মাননীয় উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।