ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ

মো: রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি:
  • Update Time : ১১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / ৭৪ Time View

ফেসবুকে পোস্ট, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ডীন।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে, আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের (বর্তমান প্রক্টর) পিএইচডির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পিএইচডি সেমিনারে আমন্ত্রিত হলে সকল ডীন যাবার চেষ্টা করি। কমিটির সদস্য না হলেও মিথ্যা পোস্টে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদার হানি হয়েছে। একজন ডীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুন্ন করছেন বলে মনে করি।

 

অভিযোগপত্রে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আবুল হোসেন আরো বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে খতিতে দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না।

এদিকে এরআগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১ তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার। এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালিগালাজসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’ সহ নানা কটুক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা

এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে আবু সালেহ সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল। শিক্ষক সমিতিও সেকান্দারের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ

মো: রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি:
Update Time : ১১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

ফেসবুকে পোস্ট, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ডীন।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে, আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের (বর্তমান প্রক্টর) পিএইচডির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পিএইচডি সেমিনারে আমন্ত্রিত হলে সকল ডীন যাবার চেষ্টা করি। কমিটির সদস্য না হলেও মিথ্যা পোস্টে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদার হানি হয়েছে। একজন ডীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুন্ন করছেন বলে মনে করি।

 

অভিযোগপত্রে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আবুল হোসেন আরো বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে খতিতে দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না।

এদিকে এরআগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১ তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার। এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালিগালাজসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’ সহ নানা কটুক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা

এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে আবু সালেহ সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল। শিক্ষক সমিতিও সেকান্দারের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে।