ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ফায়ার এক্সিট দিয়ে পালালেন মেয়র আতিক

রাজধানী
  • Update Time : ১০:৩২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৪ Time View

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম গুলশান ২-এ অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয়ে এসেছেন- এমন খবরে ডিএনসিসি ভবন ঘেরাও করেছেন সাধারণ জনতা।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে গুলশান-২ এ অবস্থিত নগর ভবনের বাইরে এমন ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম নগর ভবনে এসেছেন, এমন খবরে স্থানীয় লোকজন এসে নগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন। মূলত মেয়রের অপসরণের দাবিতে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হচ্ছেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়র আগেই নগরভবন ছেড়ে চলে যান। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। পরে মেয়র চলে যাওয়ার পর শান্ত হোন বিক্ষোভকারীরা।

গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের দুইটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ‘রাত ৮ টা ২০ মিনিটে মেয়র আতিকুল ইসলাম ১০–১৫ জন নিয়ে তার দপ্তরে প্রবেশ করেন। পরে রাত ৮ টা ৫৪ মিনিটে মেয়র তার দপ্তর থেকে বের হয়ে ভবনের ফায়ার এক্সিট গেট দিয়ে পলায়ন করেন। এ সময় মেয়রের দলবলের সঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক বিকাশ বিশ্বাসের হাতে একটি কালো ব্যাগ দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম নগর ভবনে এসেছেন, এমন খবরে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে বিক্ষোভ করছিলেন। মূলত, মেয়রের অপসরণের দাবিতে তারা সেখানে একত্রিত হন। যদিও নির্দিষ্ট কাজে নগর ভবনে এসেছিলেন মেয়র। তিনি তার কক্ষে প্রায় আধা ঘন্টা লোকজন নিয়ে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় তিনি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ অপসারণ করেছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করেন।

এদিকে সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন সহ ১২টি সিটি কর্পোরেশনে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএনসিসির প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহমুদুল হাসান, এনডিসি।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আতিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ‘মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল রাতে কার্যালয়ে আসেন। সে সময় কর্পোরেশনে কেউ ছিলেন না। পরবর্তীতে মেয়র বের হয়ে গেলে তার কক্ষটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ডিএনসিসির নতুন প্রশাসক যোগদান করার কথা আছে। তিনি যোগদানের সময় প্রধান নির্বাহী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা মিলে মেয়রের কক্ষটি দেখা হবে সেখানকার কি অবস্থা।’

Please Share This Post in Your Social Media

ফায়ার এক্সিট দিয়ে পালালেন মেয়র আতিক

রাজধানী
Update Time : ১০:৩২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম গুলশান ২-এ অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয়ে এসেছেন- এমন খবরে ডিএনসিসি ভবন ঘেরাও করেছেন সাধারণ জনতা।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে গুলশান-২ এ অবস্থিত নগর ভবনের বাইরে এমন ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম নগর ভবনে এসেছেন, এমন খবরে স্থানীয় লোকজন এসে নগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন। মূলত মেয়রের অপসরণের দাবিতে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হচ্ছেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়র আগেই নগরভবন ছেড়ে চলে যান। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। পরে মেয়র চলে যাওয়ার পর শান্ত হোন বিক্ষোভকারীরা।

গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের দুইটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ‘রাত ৮ টা ২০ মিনিটে মেয়র আতিকুল ইসলাম ১০–১৫ জন নিয়ে তার দপ্তরে প্রবেশ করেন। পরে রাত ৮ টা ৫৪ মিনিটে মেয়র তার দপ্তর থেকে বের হয়ে ভবনের ফায়ার এক্সিট গেট দিয়ে পলায়ন করেন। এ সময় মেয়রের দলবলের সঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক বিকাশ বিশ্বাসের হাতে একটি কালো ব্যাগ দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম নগর ভবনে এসেছেন, এমন খবরে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে বিক্ষোভ করছিলেন। মূলত, মেয়রের অপসরণের দাবিতে তারা সেখানে একত্রিত হন। যদিও নির্দিষ্ট কাজে নগর ভবনে এসেছিলেন মেয়র। তিনি তার কক্ষে প্রায় আধা ঘন্টা লোকজন নিয়ে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় তিনি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ অপসারণ করেছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করেন।

এদিকে সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন সহ ১২টি সিটি কর্পোরেশনে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএনসিসির প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহমুদুল হাসান, এনডিসি।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আতিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ‘মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল রাতে কার্যালয়ে আসেন। সে সময় কর্পোরেশনে কেউ ছিলেন না। পরবর্তীতে মেয়র বের হয়ে গেলে তার কক্ষটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ডিএনসিসির নতুন প্রশাসক যোগদান করার কথা আছে। তিনি যোগদানের সময় প্রধান নির্বাহী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা মিলে মেয়রের কক্ষটি দেখা হবে সেখানকার কি অবস্থা।’