ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস

প্রাণীর ভাষা ডিকোডে বিপ্লব আনবে এআই

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৮ Time View

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো প্রাণী যোগাযোগের আমাদের বোঝাপড়ায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। কারণ এটা প্রাণীর ভাষা অনুবাদের মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য করে তুলছে। এই অগ্রগতি শুধু একটি তাত্ত্বিক সম্ভাবনা নয়; বরং বিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন প্রাণীর প্রজাতির সঙ্গে দ্বিমুখী যোগাযোগের পদ্ধতি তৈরি করছেন। সফল হলে এই ধরনের প্রযুক্তি প্রাণীদের অধিকার, সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এবং প্রাণীদের অনুভূতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার ব্যাপারে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

ঐতিহাসিকভাবে মানুষ প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের মিশ্রণের মাধ্যমে প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যেমনটি কুকুরের গৃহপালন বা কোকো দ্য গরিলার মতো প্রাইমেটদের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। যাহোক, এই পদ্ধতিগুলো শ্রমনিবিড় এবং প্রায়শই সম্পূর্ণ প্রজাতির পরিবর্তে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিতে ভূমিকা রাখছে এআই।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূমি, সাগর আর আকাশে বিচরণ করা প্রাণীকুল কিভাবে স্বজাতীয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেটি ডিকোড করার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা বেশ ইতিবাচকও প্রমাণিত হতে পারে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ার কার্লটন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী শেন গেরো ২০ বছর চেষ্টার পর তিমির যোগাযোগ পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তার মতে, তিমি তাদের পরিচারের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শব্দ (আওয়াজ) উচ্চারণ করে। তার মতে, মহাসাগরগুলোর বিভিন্ন অংশে তিমিদের আঞ্চলিক উচ্চারণও রয়েছে। গবেষকরা বলেন, পাখির ডাক, ডলফিনের হুইশেল, হাতির চিৎকার মোটেও অর্থহীন নয়।

এগুলো প্রাণীদের পারস্পরিক যোগাযোগের একটি নিজস্ব শৈলী। তারা বলেন, প্রাণীকুলের পারস্পরিক যোগাযোগ বোঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে এআই প্রযুক্তি। কারণ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারবে, প্রাণীকুল আওয়াজের মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইছে, তা মানুষ অচিরেই ধরে ফেলতে পারবে।

 

সূত্র : নেচার

Please Share This Post in Your Social Media

প্রাণীর ভাষা ডিকোডে বিপ্লব আনবে এআই

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক
Update Time : ০৭:২১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো প্রাণী যোগাযোগের আমাদের বোঝাপড়ায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। কারণ এটা প্রাণীর ভাষা অনুবাদের মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য করে তুলছে। এই অগ্রগতি শুধু একটি তাত্ত্বিক সম্ভাবনা নয়; বরং বিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন প্রাণীর প্রজাতির সঙ্গে দ্বিমুখী যোগাযোগের পদ্ধতি তৈরি করছেন। সফল হলে এই ধরনের প্রযুক্তি প্রাণীদের অধিকার, সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এবং প্রাণীদের অনুভূতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার ব্যাপারে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

ঐতিহাসিকভাবে মানুষ প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের মিশ্রণের মাধ্যমে প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যেমনটি কুকুরের গৃহপালন বা কোকো দ্য গরিলার মতো প্রাইমেটদের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। যাহোক, এই পদ্ধতিগুলো শ্রমনিবিড় এবং প্রায়শই সম্পূর্ণ প্রজাতির পরিবর্তে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিতে ভূমিকা রাখছে এআই।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূমি, সাগর আর আকাশে বিচরণ করা প্রাণীকুল কিভাবে স্বজাতীয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেটি ডিকোড করার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা বেশ ইতিবাচকও প্রমাণিত হতে পারে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ার কার্লটন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী শেন গেরো ২০ বছর চেষ্টার পর তিমির যোগাযোগ পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তার মতে, তিমি তাদের পরিচারের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শব্দ (আওয়াজ) উচ্চারণ করে। তার মতে, মহাসাগরগুলোর বিভিন্ন অংশে তিমিদের আঞ্চলিক উচ্চারণও রয়েছে। গবেষকরা বলেন, পাখির ডাক, ডলফিনের হুইশেল, হাতির চিৎকার মোটেও অর্থহীন নয়।

এগুলো প্রাণীদের পারস্পরিক যোগাযোগের একটি নিজস্ব শৈলী। তারা বলেন, প্রাণীকুলের পারস্পরিক যোগাযোগ বোঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে এআই প্রযুক্তি। কারণ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারবে, প্রাণীকুল আওয়াজের মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইছে, তা মানুষ অচিরেই ধরে ফেলতে পারবে।

 

সূত্র : নেচার