পোশাক খাতে সবচেয়ে কম মজুরি বাংলাদেশে

- Update Time : ১০:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
- / ৩২৪ Time View
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পোশাক খাতে সবচেয়ে কম মজুরি বাংলাদেশে। যদিও রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগেরও বেশি আসে এ খাত থেকে। এছাড়াও ঠুনকো অভিযোগে চাকুরিচ্যু ও নিয়মিত বেতন না দেয়ার অভিযোগও আছে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। পোশাক খাতে ট্রেড ইউনিয়ন সংশ্লিষ্টরা পরবর্তী মজুরি কাঠামোতে সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজারে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন।
দেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এনে দেয়া পোশাক খাতে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা চল্লিশ লাখেরও বেশি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর মজুরি কাঠামো নির্ধারণের পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের চাপে অনেকটাই স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এ খাতে। ২০১৮ সালে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে মজুরি কাঠামো ঠিক করে দেয় শ্রম মন্ত্রণালয়। সেই সাথে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন করেনি অনেক পোশাক কারখানা। বর্তমান চড়া মূল্যস্ফীতির বাজারে এ বেতনকে পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ হিসাবে দেখছেন শ্রম আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা।
পোশাক রফতানি বিশ্বের শীর্ষ দ্বিতীয় দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম মজুরি বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের। তুরস্কে পোশাক শ্রমিকরা মাসিক সর্বনিম্ন মজুরি পান ৩০৭ ডলার। ভিয়েতনামে ১৬৮ ডলার, মালয়েশিয়ায় ২৭০ ডলার, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৭ ডলার। এমনকি চার কোটি পোশাক শ্রমিকের দেশ ভারতেও নূন্যতম মজুরি ১২৮ ডলার। অথচ বাংলাদেশি শ্রমিকরা পান মাসিক ৭৬ ডলার।
নিয়মানুযায়ী, চলতি বছরেরই পোশাক কারখানাগুলো ঘোষণা করতে হবে নতুন মজুরি কাঠামো। যেখানে সর্বনিম্ন মজুরি তিনগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব শ্রম আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের।
তাদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দাম মাত্র কয়েক সেন্ট বাড়ানোর পাশাপাশি কারখানা মালিকদের সদিচ্ছা থাকলে চল্লিশ লাখ শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়