ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

পূর্বাচলকে আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পূর্বাচল প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ১৩৩ Time View

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজউকের অধীনস্থ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের হারারবাড়ি লেকপাড় এলাকায় বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) সকালে বৃক্ষ রোপণ করে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পূর্বাচল নতুন শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ থাকলেও এর শুরুতেই বন উজাড়ের মাধ্যমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে, যা ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগত চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নানা আইনি প্রক্রিয়ায় এ বন উজাড় বন্ধের চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয়, তা পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। আবাসন প্রকল্প পরিকল্পনার শুরুতেই সবুজায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনকে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কেবল একটি সূচনা মাত্র। সবুজায়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণে আমরা নতুন নতুন বনায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জিরো-সয়েল নীতির মাধ্যমে শহরের ছাদে, খালি জায়গায় এবং প্রতিটি উন্মুক্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ করে একটি সবুজায়িত নগরী গড়ে তুলতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের পরিবেশগত ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসময় আরো বলেন, “আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যেন পূর্বাচল একটি সবুজ, স্বাস্থ্যকর এবং জলবায়ু সহনশীল আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগ শুধুই একটি বনায়ন কর্মসূচি নয়, এটি একটি দূরদর্শী বার্তা – আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।”

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা একটি বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বনায়নের বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ কর্মসূচি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এ সময় রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হারারবাড়ি লেকপাড় এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং আগামী দিনে পূর্বাচলকে সবুজায়নে ভরিয়ে তুলতে ধারাবাহিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

পূর্বাচলকে আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পূর্বাচল প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজউকের অধীনস্থ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের হারারবাড়ি লেকপাড় এলাকায় বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) সকালে বৃক্ষ রোপণ করে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পূর্বাচল নতুন শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ থাকলেও এর শুরুতেই বন উজাড়ের মাধ্যমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে, যা ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগত চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নানা আইনি প্রক্রিয়ায় এ বন উজাড় বন্ধের চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয়, তা পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। আবাসন প্রকল্প পরিকল্পনার শুরুতেই সবুজায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনকে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কেবল একটি সূচনা মাত্র। সবুজায়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণে আমরা নতুন নতুন বনায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জিরো-সয়েল নীতির মাধ্যমে শহরের ছাদে, খালি জায়গায় এবং প্রতিটি উন্মুক্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ করে একটি সবুজায়িত নগরী গড়ে তুলতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের পরিবেশগত ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসময় আরো বলেন, “আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যেন পূর্বাচল একটি সবুজ, স্বাস্থ্যকর এবং জলবায়ু সহনশীল আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগ শুধুই একটি বনায়ন কর্মসূচি নয়, এটি একটি দূরদর্শী বার্তা – আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।”

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা একটি বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বনায়নের বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ কর্মসূচি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এ সময় রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হারারবাড়ি লেকপাড় এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং আগামী দিনে পূর্বাচলকে সবুজায়নে ভরিয়ে তুলতে ধারাবাহিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন কর্মকর্তারা।