পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের দাবিতে আবারো আন্দোলনে নামবে জবি শিক্ষার্থীরা
- Update Time : ০৮:১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪৪ Time View
পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে আবারো আগামী সোমবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামবেন তারা।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর ঘোষণা, হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলের কাজ শুরু করা।
জানা যায়, ২০১৬ সালে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর সাত বছর পার হলেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। দ্রুত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে পরবর্তী সময়ে জগন্নাথের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে জবি থেকেই ভিসি নিয়োগের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল, জবি থেকে ভিসি হলেই জবিয়ানদের অধিকার আদায় আপনা আপনিই হয়ে যাবে। জবি থেকে ভিসি নিয়োগ হলো অথচ আমাদের যৌক্তিক দাবিকে বারবার মুলা দেখিয়ে আসছে জবি প্রশাসন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি দ্বিতীয় ক্যম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। অথচ দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের মেয়াদ ছয় বছর হয়ে গেছে এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ হয়নি। তা ছাড়া নতুন ভিসি আসার পরেও দ্রুত কাজ শুরুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখিনি। অধিকার আদায়ে রাজপথেই যখন শেষ ভরসা, আমরা আমাদের আধিকার রাজপথেই আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয় ক্যম্পাসের কাজ যত দিন না পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে তত দিন আমরা রাজপথে আছি।’