ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

পুলিশ কনস্টেবলে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের দায়ে দুই প্রতারক আটক

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬১ Time View

বরগুনায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক চাকরি প্রত্যাশী পরিবার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বরগুনা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে বেতাগী থানা পুলিশ। বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হালিম।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকরা হলেন- সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মো. মনির হোসেন খান (৪০)। তারা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বরগুনার বেতাগী উপজেলার মো. ইব্রাহিম গোলদার (২০) নামের এক তরুণকে ২০২৪ সালের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রটি। মৌখিকভাবে চূড়ান্ত চুক্তি হয় ছয় লাখ টাকায়। পরবর্তীতে বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বিষয়টি প্রতারণা নিশ্চিত হয়ে ইব্রাহিমের দাদা মো. জলিল গোলদার (৫৮) বাদী হয়ে বেতাগী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ইব্রাহিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৬ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স এবং ৭ এপ্রিল বরগুনার গাবুয়া এলাকা থেকে মনির হোসেন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা টাকার মধ্যে প্রায় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জনায় পুলিশ।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, টাকা নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার ঘটনায় একটি অভিযোগ আমাদের কাছে আসার পরেই আমরা অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করি।

তিনি আরও বলেন, সামনে আমাদের নতুন একটি  নিয়োগ কার্যক্রম আছে। পুলিশে চাকরি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, তাই পুলিশের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো ধরনের লেনদেন বা ঘুষ প্রস্তাব থেকে বিরত থাকার জন্যে সকলকে অনুরোধ থাকবে। এছাড়াও পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি বরদাশত করা হবেনা বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশ কনস্টেবলে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের দায়ে দুই প্রতারক আটক

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

বরগুনায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক চাকরি প্রত্যাশী পরিবার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বরগুনা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে বেতাগী থানা পুলিশ। বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হালিম।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকরা হলেন- সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মো. মনির হোসেন খান (৪০)। তারা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বরগুনার বেতাগী উপজেলার মো. ইব্রাহিম গোলদার (২০) নামের এক তরুণকে ২০২৪ সালের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রটি। মৌখিকভাবে চূড়ান্ত চুক্তি হয় ছয় লাখ টাকায়। পরবর্তীতে বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বিষয়টি প্রতারণা নিশ্চিত হয়ে ইব্রাহিমের দাদা মো. জলিল গোলদার (৫৮) বাদী হয়ে বেতাগী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ইব্রাহিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৬ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স এবং ৭ এপ্রিল বরগুনার গাবুয়া এলাকা থেকে মনির হোসেন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা টাকার মধ্যে প্রায় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জনায় পুলিশ।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, টাকা নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার ঘটনায় একটি অভিযোগ আমাদের কাছে আসার পরেই আমরা অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করি।

তিনি আরও বলেন, সামনে আমাদের নতুন একটি  নিয়োগ কার্যক্রম আছে। পুলিশে চাকরি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, তাই পুলিশের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো ধরনের লেনদেন বা ঘুষ প্রস্তাব থেকে বিরত থাকার জন্যে সকলকে অনুরোধ থাকবে। এছাড়াও পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি বরদাশত করা হবেনা বলে জানান তিনি।