ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন

সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৭ Time View

সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে প্রতিষ্টিত এ বিদ্যলয়ে জরাজীর্ন ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৯১৭-১৯১৮ অর্থবছরে নতুন ভবন নির্মান হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ বাড়ে। তবে জড়াজির্ণ ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। সুরমা নদীর পানি বাড়লে ও একটু বন্যা হলে বিদ্যালযে পানি ডুকে পড়ে। জিলকার হাওরের দক্ষিন পাশে এ বিদ্যালয়টির অবস্থান থাকায় প্রায়ই বিদ্যালয়ে পানি উঠে। যার ফলে বর্ষাকালে শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে ও বিদ্যালয়ের রাস্তা না থকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে অনেক দূর্ভোগ পেতে হয়।

বিদ্যালয়ের পাশাপাশি গ্রাম ভিত্তিক স্কুল একাডেমী ও মাদ্রাসা থাকায় দিনে দিনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্তাবধানে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২ লক্ষ টাকার মাইনর মেরামতের প্রজেক্ট আসে। ব্যাট কর্তনসহ প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে অর্থাৎ প্রাককলন অনুসারে বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ, শ্রেণীকক্ষ সৌন্দর্যকরন, মেঝে আর সিসি ঢালাই, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষ সৌন্দর্য বৃদ্ধি, দরজা-জানালা মেরামত ,পুরাতন ভবন প্লাস্টার ও আর্টসহ সংস্কার, ডেক্সও ব্রেঞ্চ রঙকরাসহ বিভন্ন পর্যায়ের সংস্কার কাজ করা হয়। যার ফলে বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

পীরের গাও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুয়োগ সুবিধার কথা চিন্তা করে খুব কষ্ট করে এ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। নিজ প্রচেষ্টায় লোন তুলে ও নিজে টাকা খরচ করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছি, কিন্তু এখনও কাজের টাকা হাতে পাইনি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি অনুমোদন হলে নিজ হাতে এ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন বিভিন্ন জায়গায় কমিটি অনুমোদন হলেও সিলেট সদরে এখনও কমিটি অনুমোদন হয়নি। তবে বিল পাওয়ার আগে আমি নিজ প্রচেষ্টায় স্কুল ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করি।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন

সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে প্রতিষ্টিত এ বিদ্যলয়ে জরাজীর্ন ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৯১৭-১৯১৮ অর্থবছরে নতুন ভবন নির্মান হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ বাড়ে। তবে জড়াজির্ণ ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। সুরমা নদীর পানি বাড়লে ও একটু বন্যা হলে বিদ্যালযে পানি ডুকে পড়ে। জিলকার হাওরের দক্ষিন পাশে এ বিদ্যালয়টির অবস্থান থাকায় প্রায়ই বিদ্যালয়ে পানি উঠে। যার ফলে বর্ষাকালে শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে ও বিদ্যালয়ের রাস্তা না থকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে অনেক দূর্ভোগ পেতে হয়।

বিদ্যালয়ের পাশাপাশি গ্রাম ভিত্তিক স্কুল একাডেমী ও মাদ্রাসা থাকায় দিনে দিনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্তাবধানে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২ লক্ষ টাকার মাইনর মেরামতের প্রজেক্ট আসে। ব্যাট কর্তনসহ প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে অর্থাৎ প্রাককলন অনুসারে বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ, শ্রেণীকক্ষ সৌন্দর্যকরন, মেঝে আর সিসি ঢালাই, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষ সৌন্দর্য বৃদ্ধি, দরজা-জানালা মেরামত ,পুরাতন ভবন প্লাস্টার ও আর্টসহ সংস্কার, ডেক্সও ব্রেঞ্চ রঙকরাসহ বিভন্ন পর্যায়ের সংস্কার কাজ করা হয়। যার ফলে বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

পীরের গাও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুয়োগ সুবিধার কথা চিন্তা করে খুব কষ্ট করে এ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। নিজ প্রচেষ্টায় লোন তুলে ও নিজে টাকা খরচ করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছি, কিন্তু এখনও কাজের টাকা হাতে পাইনি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি অনুমোদন হলে নিজ হাতে এ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন বিভিন্ন জায়গায় কমিটি অনুমোদন হলেও সিলেট সদরে এখনও কমিটি অনুমোদন হয়নি। তবে বিল পাওয়ার আগে আমি নিজ প্রচেষ্টায় স্কুল ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করি।

নওরোজ/এসএইচ