ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সমন্বিত আবেদন ও জাতীয় মেধাতালিকার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ Time View

বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ।

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে সমন্বিত আবেদন, সারাদেশে একযোগে ২০০ নম্বরের একটি ভর্তি পরীক্ষা এবং সর্বমোট ৩০০ নম্বরের একটি জাতীয় মেধাতালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ।

সোমবার পরিষদের পক্ষে দুই অভিভাবক মো. সাজ্জাদ আল আমিন ও হাফিজা আফরোজের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমন্বিত স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করে পাঁচ মাসের মধ্যে পরবর্তী সেশনের ক্লাস শুরুর আহ্বান জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ।

এতে বলা হয়, সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনে যে নামেই বলুক, বাংলা ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান- একই ইউনিটে হলে পঠিত বিষয়ের ৩ বা ৪ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। সবাই কমবেশি ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়। তাহলে এই প্রলম্বিত পরীক্ষাগুলো জাতীয় সম্পদের এক ধরনের অপচয় এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা সামগ্রিক বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে ১৪টি সুনির্দিষ্ট লজিক, ১২টি দাবি, জাতির কাছে ৯টি খোলা প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা এবং ১২টি কর্মপন্থা বা সুপারিশের মাধ্যমে একচেটিয়া প্রতিযোগিতা রহিত করে একটি উইন-উইন সিচুয়েশন উপস্থাপনের চেষ্টা করছি মাত্র।

বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ জানিয়েছে, আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা প্রচলিত পদ্ধতির সাথে সঙ্গতি রেখেই একটি পূর্ণ সমন্বিত পদ্ধতি প্রস্তাব করছি, যাতে সকল বিশ্ববিদ্যালয় পাবে তাদের প্রত্যাশিত শিক্ষার্থী ও মেধা যাচাইয়ের সুযোগ। এতে প্রতিটি যোগ্য শিক্ষার্থী, ভর্তি হতে পারবে কাঙ্ক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্থিক ও দুরবর্তী কারণে বঞ্চিত হতে হবে না উচ্চশিক্ষা লাভের সর্বোকৃষ্ট অধিকার থেকে। ভর্তির আগেই সেশন জটমুক্ত হয়ে ভর্তি হবে শিক্ষার্থী। প্রান্তিক ফলাফলকারী ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী ৫ মাসের মধ্যে ক্লাসে ফিরে যাবে। তারা শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি মুক্ত হবে। অন্যদিকে অভিভাবকদের অর্থও সাশ্রয় হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সমন্বিত আবেদন ও জাতীয় মেধাতালিকার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৬:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে সমন্বিত আবেদন, সারাদেশে একযোগে ২০০ নম্বরের একটি ভর্তি পরীক্ষা এবং সর্বমোট ৩০০ নম্বরের একটি জাতীয় মেধাতালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ।

সোমবার পরিষদের পক্ষে দুই অভিভাবক মো. সাজ্জাদ আল আমিন ও হাফিজা আফরোজের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমন্বিত স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করে পাঁচ মাসের মধ্যে পরবর্তী সেশনের ক্লাস শুরুর আহ্বান জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ।

এতে বলা হয়, সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনে যে নামেই বলুক, বাংলা ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান- একই ইউনিটে হলে পঠিত বিষয়ের ৩ বা ৪ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। সবাই কমবেশি ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়। তাহলে এই প্রলম্বিত পরীক্ষাগুলো জাতীয় সম্পদের এক ধরনের অপচয় এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা সামগ্রিক বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে ১৪টি সুনির্দিষ্ট লজিক, ১২টি দাবি, জাতির কাছে ৯টি খোলা প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা এবং ১২টি কর্মপন্থা বা সুপারিশের মাধ্যমে একচেটিয়া প্রতিযোগিতা রহিত করে একটি উইন-উইন সিচুয়েশন উপস্থাপনের চেষ্টা করছি মাত্র।

বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয় পরিষদ জানিয়েছে, আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা প্রচলিত পদ্ধতির সাথে সঙ্গতি রেখেই একটি পূর্ণ সমন্বিত পদ্ধতি প্রস্তাব করছি, যাতে সকল বিশ্ববিদ্যালয় পাবে তাদের প্রত্যাশিত শিক্ষার্থী ও মেধা যাচাইয়ের সুযোগ। এতে প্রতিটি যোগ্য শিক্ষার্থী, ভর্তি হতে পারবে কাঙ্ক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্থিক ও দুরবর্তী কারণে বঞ্চিত হতে হবে না উচ্চশিক্ষা লাভের সর্বোকৃষ্ট অধিকার থেকে। ভর্তির আগেই সেশন জটমুক্ত হয়ে ভর্তি হবে শিক্ষার্থী। প্রান্তিক ফলাফলকারী ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী ৫ মাসের মধ্যে ক্লাসে ফিরে যাবে। তারা শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি মুক্ত হবে। অন্যদিকে অভিভাবকদের অর্থও সাশ্রয় হবে।