ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫ Time View

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার পারাচিনার এলাকায় শিয়া মুসলিমদের বহনকারী গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলার ফলে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। ওই হামলার জবাবে পরবর্তী সময়ে একাধিক পাল্টা হামলা চালানো হয়।

এসব ঘটনায় গত সোমবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ জনে, বৃহস্পতিবার তা ১০০ ছাড়িয়েছে। গাড়িগুলোতে হামলার পর প্রাদেশিক সরকারের একটি প্রতিনিধি দল জেলা পরিদর্শন করে এবং উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন করে পরিস্থিতি শান্তও করেছিল। কিন্তু সালিশি আলোচনার সময়ও বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়াগায় সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল, যা পরবর্তীতে ফের বড় আকার ধারণ করে।

জেলার ডেপুটি কমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রতিনিধি দল সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর আশপাশের জেলাগুলোর উপজাতি প্রবীণরা বৃহস্পতিবার ‘জিরগা’ বা উপজাতীয় আদালত বসাতে কুররাম যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রবীণরা শত্রুতা নিরসনে নতুন করে উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৯:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার পারাচিনার এলাকায় শিয়া মুসলিমদের বহনকারী গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলার ফলে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। ওই হামলার জবাবে পরবর্তী সময়ে একাধিক পাল্টা হামলা চালানো হয়।

এসব ঘটনায় গত সোমবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ জনে, বৃহস্পতিবার তা ১০০ ছাড়িয়েছে। গাড়িগুলোতে হামলার পর প্রাদেশিক সরকারের একটি প্রতিনিধি দল জেলা পরিদর্শন করে এবং উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন করে পরিস্থিতি শান্তও করেছিল। কিন্তু সালিশি আলোচনার সময়ও বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়াগায় সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল, যা পরবর্তীতে ফের বড় আকার ধারণ করে।

জেলার ডেপুটি কমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রতিনিধি দল সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর আশপাশের জেলাগুলোর উপজাতি প্রবীণরা বৃহস্পতিবার ‘জিরগা’ বা উপজাতীয় আদালত বসাতে কুররাম যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রবীণরা শত্রুতা নিরসনে নতুন করে উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।