ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ প্রধান বিচারপতির সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাত রংপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা: ১ লাখ টাকা জরিমানা ১১ জুলাই কুবিতে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে পীরগাছায় বদলি সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সেক্রেটারির সাক্ষাৎ শিক্ষার্থীদের ‘লাথি-ঘুষি মারা’ সেই ওসি বদলি মামলা জট কমানো, ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আমেরিকা শুল্ক না কমালে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব প্রভাব পড়বে: বাণিজ্য সচিব 

পাকিস্তানকে হারিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭৯ Time View

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। পাঞ্জাব প্রদেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের ইতিহাস তৈরি করল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তাদেরই মাটিতে পাকিস্তানকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে টাইগাররা।

এর আগে ২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানের ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে আজ রোববার ২৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচলো বাংলাদেশের। এই ম্যাচে একটি দুর্দান্ত রেকর্ডও করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে টেস্টে এটিই পাকিস্তানের সর্বনিম্ম স্কোর। এর আগে ২০০৩ সালে মুলতানে টাইগারদের কাছে ১৭৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।

৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। সাদমানের ৯ আর জাকিরের ১৫ রানের সুবাদে জয় অর্জিত হয় বাংলাদেশের। আগা সালমানকে সুইপ করে চার জাকির হাসানের। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাল ১০ উইকেটে। টেস্টে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ১০ উইকেটে জয়।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ২০১৫ সালে খুলনা টেস্ট ড্র। ১৪তম টেস্টে এসে বাংলাদেশ পেল ঐতিহাসিক জয়। পাকিস্তান নবম প্রতিপক্ষ, যাদের টেস্টে হারাল বাংলাদেশ। বাকি থাকল শুধু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের এটি মাত্র সপ্তম জয়, সব মিলিয়ে ২০তম।

৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান, সেটি ছিল টেস্টের দ্বিতীয় দিন। শেষ বেলায় ১২ ওভার ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে সামলেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির ও সাদমান। এরপর থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের দাপট—ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও। সাদমানের লড়াকু ৯৩ রানের পর মুশফিকের ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ৫৬৫ রানের বড় সংগ্রহ। এরপর সাকিব ও মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান, দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানেই। তাতে বাংলাদেশে সামনে আসে ৩০ রানের লক্ষ্যের আনুষ্ঠানিকতা। যেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে গেল কোনো উইকেট না হারিয়েই। ১৯১ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুশফিকুর রহিম। আর মিরাজ জিতেছেন ম্যাচের সেরা বোলারের পুরস্কার।

নওরোজ/এসএইচ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানকে হারিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ০৪:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। পাঞ্জাব প্রদেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের ইতিহাস তৈরি করল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তাদেরই মাটিতে পাকিস্তানকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে টাইগাররা।

এর আগে ২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানের ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে আজ রোববার ২৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচলো বাংলাদেশের। এই ম্যাচে একটি দুর্দান্ত রেকর্ডও করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে টেস্টে এটিই পাকিস্তানের সর্বনিম্ম স্কোর। এর আগে ২০০৩ সালে মুলতানে টাইগারদের কাছে ১৭৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।

৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। সাদমানের ৯ আর জাকিরের ১৫ রানের সুবাদে জয় অর্জিত হয় বাংলাদেশের। আগা সালমানকে সুইপ করে চার জাকির হাসানের। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাল ১০ উইকেটে। টেস্টে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ১০ উইকেটে জয়।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ২০১৫ সালে খুলনা টেস্ট ড্র। ১৪তম টেস্টে এসে বাংলাদেশ পেল ঐতিহাসিক জয়। পাকিস্তান নবম প্রতিপক্ষ, যাদের টেস্টে হারাল বাংলাদেশ। বাকি থাকল শুধু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের এটি মাত্র সপ্তম জয়, সব মিলিয়ে ২০তম।

৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান, সেটি ছিল টেস্টের দ্বিতীয় দিন। শেষ বেলায় ১২ ওভার ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে সামলেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির ও সাদমান। এরপর থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের দাপট—ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও। সাদমানের লড়াকু ৯৩ রানের পর মুশফিকের ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ৫৬৫ রানের বড় সংগ্রহ। এরপর সাকিব ও মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান, দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানেই। তাতে বাংলাদেশে সামনে আসে ৩০ রানের লক্ষ্যের আনুষ্ঠানিকতা। যেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে গেল কোনো উইকেট না হারিয়েই। ১৯১ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুশফিকুর রহিম। আর মিরাজ জিতেছেন ম্যাচের সেরা বোলারের পুরস্কার।

নওরোজ/এসএইচ