ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন জাবি উপাচার্য পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তরুণদের আরেকটি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ডিএমপির ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন এএসআই পলাশ কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ কুবিতে তিন দপ্তরে ‘বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগ গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা চায় বাংলাদেশ টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত : ড. ইউনূস লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা প্লট জালিয়াতির ৩ মামলায় প্রধান আসামি রেহানা-ববি-আজমিনা, সহযোগী হাসিনা-টিউলিপ

পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক – পরিবেশ উপদেষ্টা

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৮:২৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৭ Time View

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। এই সহায়তার মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, বৈদ্যুতিক গণপরিবহন চালু, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বায়ু ও পানি দূষণ প্রতিরোধের কার্যক্রম থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ইইউ-ইআইবি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার।

বৈঠকে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নদী পরিষ্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, হাতি অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

নিকোলা বিয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ইইউ ও ইআইবি বাংলাদেশের পরিবেশ উন্নয়নে অভিজ্ঞতা ও সম্পদ দিয়ে সহযোগিতা করবে। তিনি বনায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, টেকসই আবাসন, সবুজ বন্ড ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদ্বয়, বাংলাদেশে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ ইইউ ও ইআইবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আজ ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২০ টি অবৈধ ভাটা হতে ১,১৪,০০,০০০/-(এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ হাজার টাকা মাত্র) জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং ১১টি ইটভাটার চিমনী ভাঙ্গাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ২ টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ০১টি চারকোল ফ্যাক্টরীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ০১ টি চারকোল ফ্যাক্টরী উচ্ছেদ করে কারখানার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক – পরিবেশ উপদেষ্টা

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০৮:২৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। এই সহায়তার মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, বৈদ্যুতিক গণপরিবহন চালু, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বায়ু ও পানি দূষণ প্রতিরোধের কার্যক্রম থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ইইউ-ইআইবি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার।

বৈঠকে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নদী পরিষ্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, হাতি অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

নিকোলা বিয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ইইউ ও ইআইবি বাংলাদেশের পরিবেশ উন্নয়নে অভিজ্ঞতা ও সম্পদ দিয়ে সহযোগিতা করবে। তিনি বনায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, টেকসই আবাসন, সবুজ বন্ড ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদ্বয়, বাংলাদেশে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ ইইউ ও ইআইবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আজ ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২০ টি অবৈধ ভাটা হতে ১,১৪,০০,০০০/-(এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ হাজার টাকা মাত্র) জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং ১১টি ইটভাটার চিমনী ভাঙ্গাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ২ টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ০১টি চারকোল ফ্যাক্টরীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ০১ টি চারকোল ফ্যাক্টরী উচ্ছেদ করে কারখানার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।