পরকীয়া প্রেমে প্রাণ গেলো তিন সন্তানের জননীর, প্রেমিক আটক
![](https://techienethost.com/adminlogin/wp-content/themes/template-pro/assets/images/reporter.jpg)
- Update Time : ০৯:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
- / ২৯৯ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বিটি বিশাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জননী মরিয়ম পরকীয়া প্রেমের জেরে কীটনাশক খেয়ে মৃত্যুবরণের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ছয় মাসের অবৈধ গভীর সম্পর্কে মরিয়ম ও আবু ছাইদ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মরিয়ম আক্তার ৪ মাস পূর্বে অন্তঃসত্ত্বা হয়।
গত সোমবার মরিময়ম বাঞ্ছারামপুর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে হয়ে ছাইদের সাথে দেখা করেন করেন। এক পর্যায়ে আবু ছাইদ কৌশলে গর্ভে থাকা চার মাসের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য টাকা উত্তোলন ও বাঞ্ছারামপুরে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রেমিক ছাইদ বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য।
মরিয়ম গর্ভের সন্তান নষ্ট করবে না বললে কথা কাটাকাটি করে বাহিরে চলে এসে কীটনাশক খেয়ে অবচেতন হলে তাৎক্ষণিক বাঞ্ছারপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফারর্ড করলে যাওয়ার পথে মৃত্যবরণ করে মরিয়ম।
নিহত মরিয়ম রতনপুর ইউনিয়নের বিটি বিশিড়া গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪ নাম্বার ঘরে থাকতেন।
মামলার বাদী মরিয়মের মামা শাহিন মিয়া জানায়, গত সোমবার দুপুর বেলা আসামী আবু ছাইদ আমার ভাগ্নি মরিয়মকে সাথে নিয়া বাঞ্ছারামপুর এসে বিসমিল্লাহ রেষ্টুরেন্টে এসে খাওয়া দাওয়া করে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে এনে গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য চাপসৃষ্টি ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমার ভাগ্নি গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজী না হলে, আবু ছাইদ সম্পর্ক রাখবেনা বলে জানিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে আমার ভাগ্নি পার্শবর্তী বাঞ্ছারামপুর ইসলামি ব্যাংকের সামনের রাস্তায় কেড়ির বড়ি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে।এ সময় আবু সায়েদ পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে স্হানীয় লোকজন ঘাতক প্রেমিক আবু সাইদকে আটক করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় সোপর্দন করে। একপর্যায়ে আমার ভাগ্নির শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় ০৬/০৬/২০২৩ইং মঙ্গলবার রাত- ০২.২০ঘটিকার সময় মৃর্ত্যবরণ করে। আমি আবু সাঈদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে নিহত মরিয়মে ছেলে আতিক জানান, আমার মায়ের সাথে দীর্ঘদিন এই ঘাতক সাহেদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন সময় ফোনে যোগাযোগ রাখতেন তারা। আতিক এর দাবি তার মা মরিয়মকে বিভিন্ন সময় ফোনে চাপ প্রয়োগ করে মানসিক চিন্তিত রাখতেন। কিন্ত লোক লজ্জার ভয়ে আমি আমার মা কে কখনো নিষেধ করতে পারিনি।
এ বিষয়ে খাগাতুয়া গ্রামে গ্রেফতারকৃত আসামী আবু সায়েদ এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে এ বিষয়ের সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নূরে আলম বলেন,থানায় মামলা হয়েছে ইতিমধ্যে মামলার মূল আসামি সাহেদকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।