ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন; গ্রেপ্তার ২

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / ২০৩ Time View

রংপুর মহানগরীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ওই দুজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে বিকেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

 

২০০৮ সালে শাহনাজের সাথে তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিন্তু বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে আসামি মঞ্জুরুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দুজনের পরকীয়ার এই সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় এক বছর আগে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও একই সম্পর্কে জড়ান শাহনাজ।

 

আরপিএমপি র এই কর্মকর্তা জানান, স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতিবেশী নাতি মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। বছরখানেক আগে প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও শাহনাজের একই সম্পর্ক ছিল। তিনি সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে শাহনাজ বিষয়টি মঞ্জুরুলকে জানায় এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন বুধবার রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দু’জন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাসুয়া (ফসল তোলা ও পরিচর্যায় ব্যবহৃত) নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সাথে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

 

তিনি আরও বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকতো। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট রণচন্ডি ধনীপাড়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় কৃষক হলেও তিনি মাঝে মধ্যে অটোরিকশা ও ট্রাক চালাতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন; গ্রেপ্তার ২

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

রংপুর মহানগরীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ওই দুজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে বিকেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

 

২০০৮ সালে শাহনাজের সাথে তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিন্তু বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে আসামি মঞ্জুরুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দুজনের পরকীয়ার এই সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় এক বছর আগে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও একই সম্পর্কে জড়ান শাহনাজ।

 

আরপিএমপি র এই কর্মকর্তা জানান, স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতিবেশী নাতি মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। বছরখানেক আগে প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও শাহনাজের একই সম্পর্ক ছিল। তিনি সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে শাহনাজ বিষয়টি মঞ্জুরুলকে জানায় এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন বুধবার রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দু’জন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাসুয়া (ফসল তোলা ও পরিচর্যায় ব্যবহৃত) নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সাথে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

 

তিনি আরও বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকতো। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট রণচন্ডি ধনীপাড়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় কৃষক হলেও তিনি মাঝে মধ্যে অটোরিকশা ও ট্রাক চালাতেন।