ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা কিসের পাওয়ারে ট্রিপল মার্ডারের আসামি জহিরুল বাহিরে টঙ্গীর জাভান হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেফতার ৭ ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা!

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন; গ্রেপ্তার ২

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / ১৮১ Time View

রংপুর মহানগরীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ওই দুজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে বিকেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

 

২০০৮ সালে শাহনাজের সাথে তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিন্তু বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে আসামি মঞ্জুরুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দুজনের পরকীয়ার এই সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় এক বছর আগে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও একই সম্পর্কে জড়ান শাহনাজ।

 

আরপিএমপি র এই কর্মকর্তা জানান, স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতিবেশী নাতি মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। বছরখানেক আগে প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও শাহনাজের একই সম্পর্ক ছিল। তিনি সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে শাহনাজ বিষয়টি মঞ্জুরুলকে জানায় এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন বুধবার রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দু’জন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাসুয়া (ফসল তোলা ও পরিচর্যায় ব্যবহৃত) নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সাথে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

 

তিনি আরও বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকতো। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট রণচন্ডি ধনীপাড়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় কৃষক হলেও তিনি মাঝে মধ্যে অটোরিকশা ও ট্রাক চালাতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন; গ্রেপ্তার ২

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

রংপুর মহানগরীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ওই দুজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে বিকেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

 

২০০৮ সালে শাহনাজের সাথে তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিন্তু বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে আসামি মঞ্জুরুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দুজনের পরকীয়ার এই সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় এক বছর আগে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও একই সম্পর্কে জড়ান শাহনাজ।

 

আরপিএমপি র এই কর্মকর্তা জানান, স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতিবেশী নাতি মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শাহনাজ। বছরখানেক আগে প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সাথেও শাহনাজের একই সম্পর্ক ছিল। তিনি সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে শাহনাজ বিষয়টি মঞ্জুরুলকে জানায় এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন বুধবার রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দু’জন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাসুয়া (ফসল তোলা ও পরিচর্যায় ব্যবহৃত) নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সাথে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

 

তিনি আরও বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকতো। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট রণচন্ডি ধনীপাড়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় কৃষক হলেও তিনি মাঝে মধ্যে অটোরিকশা ও ট্রাক চালাতেন।