পটুয়াখালীতে বিএনপি-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১৫
- Update Time : ০১:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
- / ১৩০ Time View
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে শনিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শহরের বনানী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর বক্তব্য চলাকালে বেলা ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিপের নেতৃত্বে বিএনপির সমাবেশে হামলা শুরু করলে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
খবর ছড়িয়ে পরলে জেলা যুবলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে পৌছলে পুনরায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৫ থেকে ২০মিনিট ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাদানে গ্যাস নিক্ষপ করে। এ ঘটনায় উভয় দলের অন্তত ১৫জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
এসময় সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু ইটের আঘাতে আহত হয়। অন্য আহতদের নাম পাওয়া যায়নি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির অভিযোগ শান্তিপূর্ন পরিবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ১০থেকে ২০জন কর্মীকে আহত করেছে।
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী তানভির হাসান আরিফ বলেন, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমরা মিছিল করলে বিএনপির গুন্ডারা আমাদের উপর হামলা চালায়, এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
ওসি মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পটুয়াখালীতে সংঘর্ষের পর কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন হবেনা। এসময় কেন্দ্রিয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংষু সরকার কুট্টিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল হিলটনের তৃতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।