পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে জাল ডলার বিক্রি চক্রের ৬ সদস্য আটক

- Update Time : ০৯:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
- / ২০০১ Time View
পঞ্চগড়ে ৮০ হাজার জাল ইউএস ডলার সহ ডলার বিক্রি চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় এবং দেবীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা গ্রামের মৃত: হামিদুল হকের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), শতগ্রাম গ্রামের মৃত : প্রভাতের ছেলে রমেশ চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের মৃত: মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল ইসলাম (৩৪), পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলামবাগ এলাকার সুলতান আলীর ছেলে হোসেন আলী (৩৬), একই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বাগদহ দিলালপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ডিপজল (৪২), একই এলাকার ময়নুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলী (৩২)।
এ সময় ওই জাল ডলার বিক্রি চক্রের কাছ থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল, তিনটি স্মার্ট ফোন, ছয়টি সাধারন ফোন, নেশাজাতীয় ইনজেকশন সহ মাদকের সাথে ব্যবহার করা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। জাল ডলারগুলোর মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
সেনাবাহিনী আরও জানায় দীর্ঘ দিন থেকে এই চক্রটি পঞ্চগড় সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারনার মাধ্যমে জাল ডলার বিক্রি করে আসছিল। তারা পার্শ্ববর্তী দেশেও জাল টাকার ব্যবসা করতো।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাল ডলার সহ তারা পঞ্চগড়ে প্রবেশ করবে বলে জানতে পারে সেনাবাহিনী। এরই প্রেক্ষিতে সকাল সাতটা থেকে সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদি পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে শহরের প্রবেশ মূখে চেক পোস্ট বসানো হয়। সকাল পৌনে আটটার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তল্লাসী চালিয়ে জাল ডলার সহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পঞ্চগড় পৌরসভা এবং দেবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
পুলিশ জানায় আটককৃতদের বিরূদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে। পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, জাল ডলার সহ আটককৃত এবং জড়িতদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার কার্যক্রম শেষ হলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।