ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

পঞ্চগড়ে ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য

সাব্বির হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৮ Time View

পঞ্চগড়ে মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে পনের দিনব্যাপী প্রযোজনা কেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা’র অংশ হিসেবে পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়। নাটকটির ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান।

সমকালীন বাস্তবতায় অভ্যূত্থানের স্পৃহাকে পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে নির্মিত এই নাটকটি কর্মশালার মাধ্যমে নির্মিত একটি প্রযোজনা। প্রযোজনায় ক্রমাগত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ক্লান্ত, দিশাহীন মানুষ বা পিঁপড়ারা দর্শকদের কাছে প্রশ্ন হাজির করেছে যে, ‘ঠিক কতবার মরলে বাঁচার স্বাদ পাওয়া যায়’?

নাট্যকর্মশালার মূখ্য প্রশিক্ষক ও নাটকটির নির্দেশক আশরাফুল ইসলাম সায়ান প্রযোজনা নির্মাণের নেপথ্যের ভাবনা প্রসঙ্গে বলেন, “ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে বৃহত্তর পরিম-লের সর্বত্রই নিজের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়। নিজেদের যাপনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বুঝতে পেরেছিল যে, এই দুনিয়া হামেশাই আমাদের প্রতিকূলে থাকবে। ফলে, তারা আমাদের লড়াকু হিসেবে তৈরীর যাত্রার সূচনা ঘটিয়ে দেন আমাদের অজ্ঞানেই, সেই ‘স্বরে অ-তে, অজগরটি আসছে তেড়ে’ থেকেই। অথচ, জগত মানবিকও তো হতে পারতো। যেখানে বাঁচতে হলে লড়াই করার প্রয়োজন পড়তো না। জীবন দিয়ে প্রমাণ করতে হতো না যে, ‘আমরা বাঁচতে চাই”।

প্রযোজনাটির নির্দেশনা সহযোগী, সংগীত ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আশিক চৌধুরী। পোশাক ও দ্রব্যসম্ভার পরিকল্পনা করেছেন নৃত্যশিল্পী রিমি রফিক। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জিকরুল ইসলাম, দুরন্ত বাবু, ধনেশ চন্দ্র বর্মন, মেঘলা দাস, জসীম উদ্দিন, জামিল জুলফিকার রাহাত, তামিম ইকবাল মিরাজ, মাসুদ রানা, রাদিয়াত ইসলাম, রায়হান ইসলাম, সেলিম হোসেন, হাবিবুর রহমান শাওন, রুখসাদ বিনতে আলম স্নেহা, শাহিন ইসলাম ও স্মৃতি রানী। প্রযোজনাটির মঞ্চ ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন মোস্তাক আহমেদ, গীত রচনা, দেহ বিন্যাস ও চলন পরিকল্পনা করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান এবং মহড়া ব্যবস্থাপনায় যুক্ত আছেন এটিএম মাহমুদুল আকতার মীম। নাট্যকর্মশালা ও প্রযোজনা সমন্বয় করছেন পঞ্চগড় জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন।

নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম ইমাম রাজী টুলু, জেলা বিএনপি’র সভাপতি জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, নাট্যদল ভূমিজ এর সভাপতি সরকার হায়দার,দিশারী নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। জেলা উদীচির সাধারণ সম্পাদক এস এম কিবরিয়া, বিদ্রোহী শিশু কিশোর থিয়েটার এর পরিচালক রহিম আব্দুর রহিম প্রমূখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পঞ্চগড়ে ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য

সাব্বির হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পঞ্চগড়ে মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘বেদিশা পিঁপড়া ও বহুপদী দৈত্য’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে পনের দিনব্যাপী প্রযোজনা কেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা’র অংশ হিসেবে পঞ্চগড় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়। নাটকটির ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান।

সমকালীন বাস্তবতায় অভ্যূত্থানের স্পৃহাকে পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে নির্মিত এই নাটকটি কর্মশালার মাধ্যমে নির্মিত একটি প্রযোজনা। প্রযোজনায় ক্রমাগত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ক্লান্ত, দিশাহীন মানুষ বা পিঁপড়ারা দর্শকদের কাছে প্রশ্ন হাজির করেছে যে, ‘ঠিক কতবার মরলে বাঁচার স্বাদ পাওয়া যায়’?

নাট্যকর্মশালার মূখ্য প্রশিক্ষক ও নাটকটির নির্দেশক আশরাফুল ইসলাম সায়ান প্রযোজনা নির্মাণের নেপথ্যের ভাবনা প্রসঙ্গে বলেন, “ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে বৃহত্তর পরিম-লের সর্বত্রই নিজের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়। নিজেদের যাপনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বুঝতে পেরেছিল যে, এই দুনিয়া হামেশাই আমাদের প্রতিকূলে থাকবে। ফলে, তারা আমাদের লড়াকু হিসেবে তৈরীর যাত্রার সূচনা ঘটিয়ে দেন আমাদের অজ্ঞানেই, সেই ‘স্বরে অ-তে, অজগরটি আসছে তেড়ে’ থেকেই। অথচ, জগত মানবিকও তো হতে পারতো। যেখানে বাঁচতে হলে লড়াই করার প্রয়োজন পড়তো না। জীবন দিয়ে প্রমাণ করতে হতো না যে, ‘আমরা বাঁচতে চাই”।

প্রযোজনাটির নির্দেশনা সহযোগী, সংগীত ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আশিক চৌধুরী। পোশাক ও দ্রব্যসম্ভার পরিকল্পনা করেছেন নৃত্যশিল্পী রিমি রফিক। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জিকরুল ইসলাম, দুরন্ত বাবু, ধনেশ চন্দ্র বর্মন, মেঘলা দাস, জসীম উদ্দিন, জামিল জুলফিকার রাহাত, তামিম ইকবাল মিরাজ, মাসুদ রানা, রাদিয়াত ইসলাম, রায়হান ইসলাম, সেলিম হোসেন, হাবিবুর রহমান শাওন, রুখসাদ বিনতে আলম স্নেহা, শাহিন ইসলাম ও স্মৃতি রানী। প্রযোজনাটির মঞ্চ ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন মোস্তাক আহমেদ, গীত রচনা, দেহ বিন্যাস ও চলন পরিকল্পনা করেছেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান এবং মহড়া ব্যবস্থাপনায় যুক্ত আছেন এটিএম মাহমুদুল আকতার মীম। নাট্যকর্মশালা ও প্রযোজনা সমন্বয় করছেন পঞ্চগড় জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন।

নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম ইমাম রাজী টুলু, জেলা বিএনপি’র সভাপতি জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, নাট্যদল ভূমিজ এর সভাপতি সরকার হায়দার,দিশারী নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। জেলা উদীচির সাধারণ সম্পাদক এস এম কিবরিয়া, বিদ্রোহী শিশু কিশোর থিয়েটার এর পরিচালক রহিম আব্দুর রহিম প্রমূখ।