ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মন্ত্রণালয় জানেন কি?

নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবৈধভাবে সরকারী গাড়ী ব্যবহারের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ১৭০ Time View

আবদুল গাফফার মাহমুদ : নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর নিজামুল হক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনায়াসে সরকারি ৪টি গাড়ি (জ্বালানি ও মেইনটেন্যান্স খরচসহ) ব্যবহার করে যাচ্ছেন যা প্রতিবাদ করার কারো সাহস হচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে গেলে চারদিক দিয়ে আসে বিপদ। যাতে সরকার বাৎসরিক গাড়ী প্রতি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৪টি গাড়িতে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে তিনি শুধুমাত্র যে কোন একটি গাড়ির সুবিধা পাওয়ার কথা। সরকারি ঋণ সুবিধায় ক্রয়কৃত তার গাড়িটি শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে গাড়িটি তিনি তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন যেখানে সরকার প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে উক্ত গাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করছে। এ ছাড়াও তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর হতে একটি জীপ গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস, ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের (প্রকল্প পরিচালকের ব্যবহারের জন্য) জীপ গাড়িসহ অতিরিক্ত ৩টি গাড়ি নিজের ও তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন যাতে সরকারের ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

উল্লেখ্য যে সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী সরকারি ঋণে কেনা গাড়ির ৫০ হাজার টাকা মেইনটেন্যান্স খরচ হতে ২৫ হাজার ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে যদি গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহ্নত হয়।
অপরদিকে একইভাবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিচালক, বদরুল হাসান লিটন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনায়াসে সরকারি ঋণে কেনা ১টি ও অধিদপ্তরের ১টি মাইক্রোবাসসহ মোট ২টি গাড়ি (জ্বালানি ও মেইনটেন্যান্স খরচসহ) ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি ঋণ সুবিধায় ক্রয়কৃত তার গাড়িটি শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে গাড়িটি তিনি তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। যেখানে সরকার প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে উক্ত গাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করছে যাতে সরকারের বাৎসরিক ১টি গাড়িতে (সরকারি ঋণে ক্রয়কৃত) অতিরিক্ত ৬ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারে অধিদপ্তর তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ক্ষতি সহ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ইতিপূর্বে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেই নিজের ইচ্ছে মাফিক মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল ধরনের বেআইনি ও আপত্তিকর কাজ করে যাচ্ছেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিব্রত।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিদপ্তরে শীর্ষ পদে থেকে তিনি যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন বা করছেন এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

মন্ত্রণালয় জানেন কি?

নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবৈধভাবে সরকারী গাড়ী ব্যবহারের অভিযোগ

Reporter Name
Update Time : ০৯:৩২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

আবদুল গাফফার মাহমুদ : নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর নিজামুল হক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনায়াসে সরকারি ৪টি গাড়ি (জ্বালানি ও মেইনটেন্যান্স খরচসহ) ব্যবহার করে যাচ্ছেন যা প্রতিবাদ করার কারো সাহস হচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে গেলে চারদিক দিয়ে আসে বিপদ। যাতে সরকার বাৎসরিক গাড়ী প্রতি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৪টি গাড়িতে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে তিনি শুধুমাত্র যে কোন একটি গাড়ির সুবিধা পাওয়ার কথা। সরকারি ঋণ সুবিধায় ক্রয়কৃত তার গাড়িটি শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে গাড়িটি তিনি তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন যেখানে সরকার প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে উক্ত গাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করছে। এ ছাড়াও তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর হতে একটি জীপ গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস, ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের (প্রকল্প পরিচালকের ব্যবহারের জন্য) জীপ গাড়িসহ অতিরিক্ত ৩টি গাড়ি নিজের ও তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন যাতে সরকারের ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

উল্লেখ্য যে সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী সরকারি ঋণে কেনা গাড়ির ৫০ হাজার টাকা মেইনটেন্যান্স খরচ হতে ২৫ হাজার ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে যদি গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহ্নত হয়।
অপরদিকে একইভাবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিচালক, বদরুল হাসান লিটন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনায়াসে সরকারি ঋণে কেনা ১টি ও অধিদপ্তরের ১টি মাইক্রোবাসসহ মোট ২টি গাড়ি (জ্বালানি ও মেইনটেন্যান্স খরচসহ) ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি ঋণ সুবিধায় ক্রয়কৃত তার গাড়িটি শুধুমাত্র সরকারি কাজে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে গাড়িটি তিনি তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। যেখানে সরকার প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে উক্ত গাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করছে যাতে সরকারের বাৎসরিক ১টি গাড়িতে (সরকারি ঋণে ক্রয়কৃত) অতিরিক্ত ৬ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারে অধিদপ্তর তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ক্ষতি সহ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ইতিপূর্বে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেই নিজের ইচ্ছে মাফিক মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল ধরনের বেআইনি ও আপত্তিকর কাজ করে যাচ্ছেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিব্রত।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিদপ্তরে শীর্ষ পদে থেকে তিনি যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন বা করছেন এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে।