ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অ্যাকশনে নেমেছেন সিলেটের নতুন ডিসি মো. সারওয়ার আলম সম্পত্তির জন‍্য পিতাকে কোপালো দুই ছেলে মহাদেবপুরে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়ে নির্যাতিতাকে তালাক দেওয়ালেন মাতব্বররা নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার প্রতিজ্ঞা ভেঙে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি পটুয়াখালীতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ ডাকাতির মূলহোতা গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বটবাহিনী আমার সকল আত্মীয়-স্বজনদের টার্গেট করেছে : প্রেস সচিব প্রতিহিংসার পরিবর্তে পরিকল্পনার রাজনীতি করতে হবে : তারেক রহমান

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারি শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৬৫ Time View

নোয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের সাথে আরেক সহকারি শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিও ফাঁস হওয়া প্রধান শিক্ষকের দাবি ওই সহকারি শিক্ষিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এর পক্ষে তিনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।  

গত সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে অভিভাবকদের আপত্তির মুখে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় আসতে মৌখিক ভাবে নিষেধ করেছেন গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম। এর আগে, গত রোববার রাতে ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  

ভিডিও ফাঁস হওয়া শিক্ষকরা হলেন, নোয়াখালী সদর পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল ও হাতিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকেরা কতটুকু নিছু হলে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়। সেটি আবার নিজেদের মোবাইলে ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে। তাদের সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা শিক্ষকতার মহান পেশায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল বলেন, ওই শিক্ষিকা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। বিষয়টি আমার প্রথম স্ত্রীও জানে। বিএনপি করার কারণে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর লোকজন আমার ওপর হামলা করে জোরপুর্বক আমার মোবাইল,ল্যাপটপ, মোটরাসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় তারা এ ভিডিওটি হাতিয়ে নেয়। পরে একটি চক্র ব্ল্যাকমেইল করে আমার থেকে টাকা দাবি করে আসছে। আমি থানায় একটি জিডি করেছি।

অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে সহকারি শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।    

গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম বলেন, ভিডিওটি অনেক আগের, বিষয়টি তার ব্যক্তিগত। সোমবার সকালে অভিভাবকরা ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি দুপুরেই স্কুল থেকে চলে যান। আপাতত সম্মান বাঁচাতে ওই শিক্ষিকা ছুটি নিয়ে যাবে।    

হাতিয়া উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, এটা আমি পরস্পর শুনতে পেরেছি। কিন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।  এ রকম ভিডিওতো আমরা আসলে কি দেখব। বিষয়টি যেহেতু আমার নলেজে এসেছে আমি এটার ব্যবস্থা নেব। আমি ছুটেতে আছি। বুধবার অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি পত্র দেব।

Please Share This Post in Your Social Media

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারি শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

নোয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের সাথে আরেক সহকারি শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিও ফাঁস হওয়া প্রধান শিক্ষকের দাবি ওই সহকারি শিক্ষিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এর পক্ষে তিনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।  

গত সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে অভিভাবকদের আপত্তির মুখে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় আসতে মৌখিক ভাবে নিষেধ করেছেন গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম। এর আগে, গত রোববার রাতে ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  

ভিডিও ফাঁস হওয়া শিক্ষকরা হলেন, নোয়াখালী সদর পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল ও হাতিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকেরা কতটুকু নিছু হলে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়। সেটি আবার নিজেদের মোবাইলে ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে। তাদের সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা শিক্ষকতার মহান পেশায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল বলেন, ওই শিক্ষিকা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। বিষয়টি আমার প্রথম স্ত্রীও জানে। বিএনপি করার কারণে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর লোকজন আমার ওপর হামলা করে জোরপুর্বক আমার মোবাইল,ল্যাপটপ, মোটরাসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় তারা এ ভিডিওটি হাতিয়ে নেয়। পরে একটি চক্র ব্ল্যাকমেইল করে আমার থেকে টাকা দাবি করে আসছে। আমি থানায় একটি জিডি করেছি।

অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে সহকারি শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।    

গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম বলেন, ভিডিওটি অনেক আগের, বিষয়টি তার ব্যক্তিগত। সোমবার সকালে অভিভাবকরা ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি দুপুরেই স্কুল থেকে চলে যান। আপাতত সম্মান বাঁচাতে ওই শিক্ষিকা ছুটি নিয়ে যাবে।    

হাতিয়া উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, এটা আমি পরস্পর শুনতে পেরেছি। কিন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।  এ রকম ভিডিওতো আমরা আসলে কি দেখব। বিষয়টি যেহেতু আমার নলেজে এসেছে আমি এটার ব্যবস্থা নেব। আমি ছুটেতে আছি। বুধবার অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি পত্র দেব।