ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

নৈতিক মানুষ তৈরিই আমার লক্ষ্য : অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৩ Time View

“একজন নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষই পারে একটি সমাজকে বদলে দিতে, এমনকি একটি দেশকেও।” — অবসরোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রাশেদুজ্জামান।

শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনকে অগ্রাধিকার দিয়েই দীর্ঘ কর্মজীবন কাটিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ। মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে দিনব্যাপী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠানে জিপিএ ফাইভের দরকার নেই, দরকার এমন শিক্ষার্থী যারা সততা, মানবিকতা ও নৈতিকতার আলোয় সমাজ ও দেশকে আলোকিত করবে।”

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন— মনোবিজ্ঞান বিভাগের মোঃ মফিজুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোঃ মতিউর রহমান, রসায়ন বিভাগের হোসনেয়ারা বেগম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ মনির হোসেন, ইংরেজি বিভাগের মোঃ সোলায়মান আলী এবং অফিস সহায়ক জাহানারা বেগম এবং তাদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রাশেদুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ জাকারিয়া মাহমুদ।

প্রধান অতিথি নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “নৈতিক শিক্ষা মানে একজন মানুষকে সহজ-সরলভাবে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। ভালো মানুষ ছাড়া পরিবার, সমাজ কিংবা দেশ এগোতে পারে না।”

বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সিরাজ উদ্দিন ভূঁইয়া। বক্তব্য দেন মোঃ আব্দুর রশিদ, ইমদাদুল হক নিজামী, ভূঁইয়া মহিদুল ইসলাম, নাজমুননাহার শিউলী ও আসাদুল্লাহ।তারা বলেন,

২০২০ সালের জানুয়ারিতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়ে রাশেদুজ্জামান কলেজে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। সরকারি বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে আনেন মাত্র ২০–২৫ টাকায়। চালু করেন ছাত্রকল্যাণ ফান্ড। গত বছর সেই ফান্ড থেকে ২ লাখ টাকা বিতরণ হয়েছে, যা কলেজের ইতিহাসে প্রথম।

শ্রেণিকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা, সুবিশাল লাইব্রেরি, উপস্থিতি ব্যবস্থার ডিজিটাল মনিটরিং, অভিভাবক-শিক্ষক সমন্বিত তদারকি, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পাঠদানসহ সহপাঠ কার্যক্রম চালু করেন তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীই মেধাবী। কিন্তু সঠিক মনিটরিং না থাকার কারণে তাদের মেধা বিকশিত হয় না। পরিচর্যা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলেই তারা দেশ বদলে দিতে পারবে।”

দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং স্থানীয় গণ্যমান্যরা অংশ নেন। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

নৈতিক মানুষ তৈরিই আমার লক্ষ্য : অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“একজন নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষই পারে একটি সমাজকে বদলে দিতে, এমনকি একটি দেশকেও।” — অবসরোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রাশেদুজ্জামান।

শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনকে অগ্রাধিকার দিয়েই দীর্ঘ কর্মজীবন কাটিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ। মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে দিনব্যাপী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠানে জিপিএ ফাইভের দরকার নেই, দরকার এমন শিক্ষার্থী যারা সততা, মানবিকতা ও নৈতিকতার আলোয় সমাজ ও দেশকে আলোকিত করবে।”

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন— মনোবিজ্ঞান বিভাগের মোঃ মফিজুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোঃ মতিউর রহমান, রসায়ন বিভাগের হোসনেয়ারা বেগম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ মনির হোসেন, ইংরেজি বিভাগের মোঃ সোলায়মান আলী এবং অফিস সহায়ক জাহানারা বেগম এবং তাদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রাশেদুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ জাকারিয়া মাহমুদ।

প্রধান অতিথি নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “নৈতিক শিক্ষা মানে একজন মানুষকে সহজ-সরলভাবে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। ভালো মানুষ ছাড়া পরিবার, সমাজ কিংবা দেশ এগোতে পারে না।”

বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সিরাজ উদ্দিন ভূঁইয়া। বক্তব্য দেন মোঃ আব্দুর রশিদ, ইমদাদুল হক নিজামী, ভূঁইয়া মহিদুল ইসলাম, নাজমুননাহার শিউলী ও আসাদুল্লাহ।তারা বলেন,

২০২০ সালের জানুয়ারিতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়ে রাশেদুজ্জামান কলেজে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। সরকারি বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে আনেন মাত্র ২০–২৫ টাকায়। চালু করেন ছাত্রকল্যাণ ফান্ড। গত বছর সেই ফান্ড থেকে ২ লাখ টাকা বিতরণ হয়েছে, যা কলেজের ইতিহাসে প্রথম।

শ্রেণিকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা, সুবিশাল লাইব্রেরি, উপস্থিতি ব্যবস্থার ডিজিটাল মনিটরিং, অভিভাবক-শিক্ষক সমন্বিত তদারকি, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পাঠদানসহ সহপাঠ কার্যক্রম চালু করেন তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীই মেধাবী। কিন্তু সঠিক মনিটরিং না থাকার কারণে তাদের মেধা বিকশিত হয় না। পরিচর্যা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলেই তারা দেশ বদলে দিতে পারবে।”

দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং স্থানীয় গণ্যমান্যরা অংশ নেন। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।