ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নজর এবার বাংলাদেশের বন্দরে শুটিংয়ে গিয়ে আহত সালমান খান এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠল সিলেট নীতিমালা ছাড়াই চলছে জবির প্রক্টরিয়াল বডির কাজ সিঙ্গাপুরে বসে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে হাসিনার দোসর কুখ্যাত মাফিয়া মিজান রূপগঞ্জের আলোচিত প্রধান শিক্ষক হরিকান্তকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন মিশরে ক্লিওপেট্রা আমলের সমুদ্রবন্দরের সন্ধান রিসালাত ইসলাম সজীব দিনাজপুরের গর্ব, ভবিষ্যতের রোল মডেল বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুখ্য অঞ্চলের ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের ব্যবসায়ী উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত চুরির অভিযোগে কুকুর দিয়ে যুবককে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩

নীতিমালা ছাড়াই চলছে জবির প্রক্টরিয়াল বডির কাজ

জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৩০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩৫ Time View

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব প্রধানত তার উপর ন্যস্ত থাকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা নিরসন বা নিয়ন্ত্রণেই প্রক্টরকে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থির ছাত্ররাজনীতির চিত্র দেখলে সহজেই বোঝা যায় যে, এই পরিস্থিতিতে প্রক্টরের কাজ মোটেই সহজ নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়তার জন্য সাহসী ও কর্মোদ্দীপনা সম্পন্ন প্রায় দশজন শিক্ষকের একটি নাতিদীর্ঘ বাহিনী নিয়ে ‘প্রক্টরিয়াল বডি’ গঠন করতে দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট আইনে প্রক্টর পদ থাকলেও এর কার্যাবলি উল্লেখ নেই। তাই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের, কারণ তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন। কেননা প্রক্টর টিমের দায়িত্ব সম্পর্কে তারাও অবগত নন।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহায়েল হোসেন বলেন, “সিটিজেন চার্টার না থাকায় আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না প্রক্টর অফিসের কাজ কী, কী কী সেবা পাওয়া যায়।”

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তানি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরের সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও কার্যপ্রণালী থাকা দরকার, যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।”

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডির কার্যাবলির কোনো আইনি কাঠামো নেই, আমরা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কাজ করছি। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯ বছরে প্রক্টরিয়াল বডির কাজের কোনো আইনি কাঠামো ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা নিয়ে সিন্ডিকেট মিটিং হয়েছে। আমরা আশাবাদী, পরবর্তী কোনো সিন্ডিকেটে এটি চূড়ান্ত হবে।”

কাজে ভুলভ্রান্তি হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, “আমাদের কাজের পরিধি খুবই সীমিত। আমাদের কাজ হলো শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেখা আর উপাচার্য যদি কোনো কাজ দেন সেটা করা। এর বাইরে আমাদের কোনো কাজ নেই। একারণে আমাদের ভুল করার সম্ভাবনা নেই।”

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবরিনা শরমীন বলেন, “আমাদের কাজ চলমান। এটি নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে, কমিটির সুপারিশ পেলেই কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করা হবে। উপাচার্য মহোদয় বিস্তারিত বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি এখন ছুটিতে।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আইনের ১৫ নম্বর ধারায় দেখা যায়— অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব: বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মকর্তার নিয়োগপদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নেই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেই সকল কর্মকর্তার নিয়োগপদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নীতিমালা ছাড়াই চলছে জবির প্রক্টরিয়াল বডির কাজ

জবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৩০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব প্রধানত তার উপর ন্যস্ত থাকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা নিরসন বা নিয়ন্ত্রণেই প্রক্টরকে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থির ছাত্ররাজনীতির চিত্র দেখলে সহজেই বোঝা যায় যে, এই পরিস্থিতিতে প্রক্টরের কাজ মোটেই সহজ নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়তার জন্য সাহসী ও কর্মোদ্দীপনা সম্পন্ন প্রায় দশজন শিক্ষকের একটি নাতিদীর্ঘ বাহিনী নিয়ে ‘প্রক্টরিয়াল বডি’ গঠন করতে দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট আইনে প্রক্টর পদ থাকলেও এর কার্যাবলি উল্লেখ নেই। তাই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের, কারণ তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন। কেননা প্রক্টর টিমের দায়িত্ব সম্পর্কে তারাও অবগত নন।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহায়েল হোসেন বলেন, “সিটিজেন চার্টার না থাকায় আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না প্রক্টর অফিসের কাজ কী, কী কী সেবা পাওয়া যায়।”

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তানি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরের সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও কার্যপ্রণালী থাকা দরকার, যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।”

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডির কার্যাবলির কোনো আইনি কাঠামো নেই, আমরা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কাজ করছি। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯ বছরে প্রক্টরিয়াল বডির কাজের কোনো আইনি কাঠামো ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা নিয়ে সিন্ডিকেট মিটিং হয়েছে। আমরা আশাবাদী, পরবর্তী কোনো সিন্ডিকেটে এটি চূড়ান্ত হবে।”

কাজে ভুলভ্রান্তি হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, “আমাদের কাজের পরিধি খুবই সীমিত। আমাদের কাজ হলো শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেখা আর উপাচার্য যদি কোনো কাজ দেন সেটা করা। এর বাইরে আমাদের কোনো কাজ নেই। একারণে আমাদের ভুল করার সম্ভাবনা নেই।”

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবরিনা শরমীন বলেন, “আমাদের কাজ চলমান। এটি নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে, কমিটির সুপারিশ পেলেই কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করা হবে। উপাচার্য মহোদয় বিস্তারিত বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি এখন ছুটিতে।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আইনের ১৫ নম্বর ধারায় দেখা যায়— অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব: বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কর্মকর্তার নিয়োগপদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে এই আইনের কোথাও উল্লেখ নেই, সিন্ডিকেট সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেই সকল কর্মকর্তার নিয়োগপদ্ধতি, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণ করিবেন।