নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করায় ৩ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা

- Update Time : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
- / ২১১ Time View
সরকারের বেধে দেওয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে নিত্যপণ্যে বিক্রি করার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
সরকারি ভাবে দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, মাছ, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজাহারুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে রংপুর নগরীর সর্ববৃহৎ বাজার সিটি বাজারে সরকার নির্ধারিত ২৯ নিত্যপণ্যের বেধে দেওয়া দাম কার্যকর করতে রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচারসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখেন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রয় এবং ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার না থাকার অভিযোগে তিন খেজুর ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজাহারুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে রংপুর সিটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হলো। এই বাজারে প্রথম দিন হওয়ায় সতর্কতামূলক জরিমানা করা হয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে। এরপর অভিযান পরিচালনায় এরকম অভিযোগ পাওয়া গেলে ভোক্তার ধারা অনুযায়ী জরিমানা ও দণ্ড দেয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
এদিকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সরকারের কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন বেধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা। মসুর ডাল খুচরা পর্যায়ে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা এবং মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে বলা হয়েছে। সরকারের বেধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়