ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা নিবেদন সন্দ্বীপের বেড়ীবাঁধ এলাকায় চলমান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে নোয়াখালীতে ৩৬ কলেজ-মাদরাসায় ছাত্রদলের নতুন কমিটি, আনন্দ মিছিল ফরিদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট নতুন বাংলাদেশ গড়তে সঠিক তথ্য জানতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা সেনাবাহিনীসহ অনেককেই নানাভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে লেডি বাইকার এশা গ্রেপ্তার ৯ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয় করা যাবে লোহাগাড়ায় শিশু যৌন হয়রানির চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বকেয়া পরিশোধ করছে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • Update Time : ০১:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫১ Time View

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) ৪৬৭ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় এক যুগ ধরে জমা ওই বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। বিভিন্ন সেবার বিপরীতে ওই ভ্যাট আদায়ে জোর দেয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বকেয়া রয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ওই অর্থ আদায়ে বারবার তাগাদা দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সেবা খাতের বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ২০১৩-১৪ অর্থবছরে খাতওয়ারি নিরীক্ষা করে অপরিশোধিত ৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করে। একই পদ্ধতিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়। চূড়ান্ত দাবি করা টাকা পরিশোধ করতে একাধিকবার তাগিদপত্রও দেয়া হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকা এখনো পরিশোধ করেনি। তাছাড়া ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট গোয়েন্দা) নিরীক্ষা করে আরো ৩০৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার অপরিশোধিত ভ্যাটের তথ্য উদ্ঘাটন করে। তিনটি চূড়ান্ত দাবিনামার মাধ্যমে মোট ৪৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে অনুরোধ করা হয়।

সূত্র জানায়, বকেয়া ভ্যাটের টাকা পরিশোধ না করে ২০২১ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকার দাবিনামা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বকেয়া রাজস্ব মওকুফের আবেদন নাকচ করে তা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। তারপর বিভাগীয় দপ্তর থেকে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় নোটিস এবং সদর দপ্তর থেকে গত ১৪ মে শেষ নোটিস জারি করা হয়। বিষয়টি সুরাহা করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৬ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানান।

এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, যেসব নির্দিষ্ট সেবায় ভ্যাট প্রযোজ্য ছিলো সেসব ক্ষেত্রে বন্দর নিয়মিতই ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব ধরনের সেবায় ভ্যাট দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে বন্দরের পক্ষ থেকেও যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর সমপ্রতি এনবিআর থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি।

অন্যদিকে এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া ভ্যাট নিরঙ্কুশ। অর্থাৎ ওই বকেয়া নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও আপিল শেষ হয়েছে। ভ্যাট আইনে নিরঙ্কুশ বকেয়া আদায়ের জন্য অনেক ব্যবস্থা আছে। বকেয়া আদায়ের জন্য প্রতি কমিশনারেটে এক বা একাধিক বকেয়া আদায় কর্মকর্তা অ্যাসাইন করা থাকে। তিনি বকেয়া আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বকেয়া পরিশোধ করছে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
Update Time : ০১:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) ৪৬৭ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় এক যুগ ধরে জমা ওই বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। বিভিন্ন সেবার বিপরীতে ওই ভ্যাট আদায়ে জোর দেয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বকেয়া রয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ওই অর্থ আদায়ে বারবার তাগাদা দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সেবা খাতের বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ২০১৩-১৪ অর্থবছরে খাতওয়ারি নিরীক্ষা করে অপরিশোধিত ৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করে। একই পদ্ধতিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়। চূড়ান্ত দাবি করা টাকা পরিশোধ করতে একাধিকবার তাগিদপত্রও দেয়া হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকা এখনো পরিশোধ করেনি। তাছাড়া ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট গোয়েন্দা) নিরীক্ষা করে আরো ৩০৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার অপরিশোধিত ভ্যাটের তথ্য উদ্ঘাটন করে। তিনটি চূড়ান্ত দাবিনামার মাধ্যমে মোট ৪৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে অনুরোধ করা হয়।

সূত্র জানায়, বকেয়া ভ্যাটের টাকা পরিশোধ না করে ২০২১ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকার দাবিনামা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বকেয়া রাজস্ব মওকুফের আবেদন নাকচ করে তা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। তারপর বিভাগীয় দপ্তর থেকে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় নোটিস এবং সদর দপ্তর থেকে গত ১৪ মে শেষ নোটিস জারি করা হয়। বিষয়টি সুরাহা করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৬ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানান।

এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, যেসব নির্দিষ্ট সেবায় ভ্যাট প্রযোজ্য ছিলো সেসব ক্ষেত্রে বন্দর নিয়মিতই ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব ধরনের সেবায় ভ্যাট দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে বন্দরের পক্ষ থেকেও যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর সমপ্রতি এনবিআর থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি।

অন্যদিকে এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া ভ্যাট নিরঙ্কুশ। অর্থাৎ ওই বকেয়া নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও আপিল শেষ হয়েছে। ভ্যাট আইনে নিরঙ্কুশ বকেয়া আদায়ের জন্য অনেক ব্যবস্থা আছে। বকেয়া আদায়ের জন্য প্রতি কমিশনারেটে এক বা একাধিক বকেয়া আদায় কর্মকর্তা অ্যাসাইন করা থাকে। তিনি বকেয়া আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।