ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

নিজ অর্থায়নে এলাকায় রাস্তা করে দিচ্ছেন প্রবাসী

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪০৯ Time View

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের পাশেই সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রাম। গ্রামের উত্তরপাড়ার একটি কাঁচাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী প্রায় ৩০ বছর। বর্ষা এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

হাড়িডাঙ্গা মাদরাসা থেকে লস্করপাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার সড়ক নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সবাই প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয় না।

প্রতিবেশীর কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন হাড়িডাঙ্গা গ্রামের নাসির লস্করের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী যুবক রানা লস্কর (৩২)। নিজের অর্থে সড়কটি উন্নয়নের কাজ হাতে নেন তিনি। তার উদ্যোগে প্রায় ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটিতে ইটের সলিং এবং তারপর ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এখানে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা আশা করছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু থান্ডার, জাকির মোল্লা ও রনি থান্ডার বলেন, ‘বর্ষাকালে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে অসুবিধা হয়। সবার কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকার সন্তান রানা লস্কার সড়কটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এত আমরা খুবই খুশি।’

সালামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারমান মোল্লা মাহাবুর রহমান মাহী জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ আসে না। তবে সড়কটি এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বরাদ্দ পেলে এটি নির্মাণ করা হবে। তবে প্রবাসী রানা এলাকার স্বার্থে নিজের অর্থে সড়কের কিছু অংশ নির্মাণ করায় তাকে সাধুবাদ জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, ব্যক্তির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের তথ্য আমার কাছে নেই।

এমনকি ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে কোনো আবেদনও আসেনি। তবে তিনি (প্রবাসী) সরকারি সহযোগিতা নিতে পারতেন। তারপরও তিনি এলাকাবাসীর কথা ভেবেছেন, এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

নিজ অর্থায়নে এলাকায় রাস্তা করে দিচ্ছেন প্রবাসী

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৮:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের পাশেই সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রাম। গ্রামের উত্তরপাড়ার একটি কাঁচাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী প্রায় ৩০ বছর। বর্ষা এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

হাড়িডাঙ্গা মাদরাসা থেকে লস্করপাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার সড়ক নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সবাই প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয় না।

প্রতিবেশীর কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন হাড়িডাঙ্গা গ্রামের নাসির লস্করের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী যুবক রানা লস্কর (৩২)। নিজের অর্থে সড়কটি উন্নয়নের কাজ হাতে নেন তিনি। তার উদ্যোগে প্রায় ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটিতে ইটের সলিং এবং তারপর ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এখানে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা আশা করছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু থান্ডার, জাকির মোল্লা ও রনি থান্ডার বলেন, ‘বর্ষাকালে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে অসুবিধা হয়। সবার কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকার সন্তান রানা লস্কার সড়কটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এত আমরা খুবই খুশি।’

সালামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারমান মোল্লা মাহাবুর রহমান মাহী জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ আসে না। তবে সড়কটি এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বরাদ্দ পেলে এটি নির্মাণ করা হবে। তবে প্রবাসী রানা এলাকার স্বার্থে নিজের অর্থে সড়কের কিছু অংশ নির্মাণ করায় তাকে সাধুবাদ জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, ব্যক্তির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের তথ্য আমার কাছে নেই।

এমনকি ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে কোনো আবেদনও আসেনি। তবে তিনি (প্রবাসী) সরকারি সহযোগিতা নিতে পারতেন। তারপরও তিনি এলাকাবাসীর কথা ভেবেছেন, এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।