নিখোঁজ সেই ‘কোপা শামছুর’ লাশ উদ্ধার
- Update Time : ১০:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৩১ Time View
নোয়াখালী হাতিয়ার জাগলারচর দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের দুদিন পর শামছু বাহিনীর প্রধান শামছুদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শামছুদ্দিন (৫৮) ওরফে কোপা শামছু উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ছায়দুল হকের ছেলে।
নিহতের বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তারা জাগলার চরে যায় তার বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারাদিন খোঁজ করে বিকালে কেউড়া বনের মধ্যে তার বাবার মরদেহটি দেখতে পায়। তবে মরদেহের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাগলারচর দখলকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন ও শামছু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এতে নিহত পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেলেও শামছুর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের চর আমান উল্যাহ গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৬), জাহাজমারা ইউনিয়নের পাইকবাধা এলাকার মো. শামছুদ্দিনের ছেলে মো. মোবারক হোসেন সিহাড (২১), হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম লক্ষিদিয়া গ্রামের মৃত শাহী আলমের ছেলে হক সাব (৫৫), চানন্দী ইউনিয়নের মান্নান নগর এলাকার মৃত সেকুর ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৮) এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ চর মজিদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল কাশেম (৫৭)।
আহতদের মধ্যে মো. সোহরাব (২৫) হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খবির উদ্দিনের ছেলে। অন্য আহতরা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, সংঘর্ষের এ ঘটনায় শামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতিয়া থানায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ওসি সাইফুল আলম বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা তথ্য পেয়েছি, বাগানের ভিতর শামছু প্রধানের লাশ পড়ে আছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

































































































































































































