ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে

নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২০৯ Time View

নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেনফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য, যা সন্দেহজনকভাবে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। তিনি জানান, নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট ১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিক্সন চৌধুরী নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৫টি ব্যাংক হিসাবে ১ হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৭১৫ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ টাকা জমা এবং ৬৮৬ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলনের তথ্য রয়েছে। এছাড়া, তার স্ত্রী তারিন হোসেনও তার স্বামীর সহায়তায় ৮ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজ ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ১ হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৮৮১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা জমা এবং ৮৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এছাড়া, দুদক কর্মকর্তারা জানান, এই অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় অপরাধ করেছেন এবং সরকারিভাবে প্রাপ্ত বৈধ আয় ছাড়া অতিরিক্ত সম্পদ অর্জন করেছে। দুদক এসব লেনদেনের অনুসন্ধান চালিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

এদিকে, মামলার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নিক্সন চৌধুরী বা তারিন হোসেনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০২:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেনফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য, যা সন্দেহজনকভাবে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। তিনি জানান, নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট ১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিক্সন চৌধুরী নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৫টি ব্যাংক হিসাবে ১ হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৭১৫ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ টাকা জমা এবং ৬৮৬ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলনের তথ্য রয়েছে। এছাড়া, তার স্ত্রী তারিন হোসেনও তার স্বামীর সহায়তায় ৮ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজ ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ১ হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৮৮১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা জমা এবং ৮৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এছাড়া, দুদক কর্মকর্তারা জানান, এই অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় অপরাধ করেছেন এবং সরকারিভাবে প্রাপ্ত বৈধ আয় ছাড়া অতিরিক্ত সম্পদ অর্জন করেছে। দুদক এসব লেনদেনের অনুসন্ধান চালিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

এদিকে, মামলার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নিক্সন চৌধুরী বা তারিন হোসেনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।