ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে পাঁচজনসহ নিহত ৯, আহত ৬৬৫

নরসিংদী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

ভূমিকম্প

৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চারজনসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৬৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী ও ঘোড়াশালের মধ্যবর্তী এলাকায় এ ভূকম্পনের উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নরসিংদীতে ছাদ থেকে ইট পড়ে মারা গেছেন- দেলোয়ার হোসেন (৩৭), তার ছেলে ওমর ফারুক (৮), কাজম আলী ভূইয়া (৭০), নাসির উদ্দিন (৫০ ও ফুরকান মিয়া (৪২)। দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে। তারা নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভাড়া থাকেন। এছাড়া কাজম আলী পলাশ উপজেলায় ও ফুরকান মিয়া শিবপুর উপজেলার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালের ভূমিকম্পে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি তৈরি হয়। এতে ঘর-বাড়ি কেঁপে ওঠে। এ সময় লোকজনকে ঘর থেকে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। প্রায় ২৬ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে নরসিংদীর সদর উপজেলার গাবতলী এলাকার একটি নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে ইট পড়ে দেলোয়ার হোসেন (৩৭), তার ছেলে ওমর ফারুক (৮) ও অজ্ঞাত আরেকজন আহত হন। গুরুতর আহত ওমর ফারুক ও দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।

এছাড়া পলাশ উপজেলার মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়ে মালিতা গ্রামের কাজম আলী ভূইয়া (৭০) মারা যান। পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা গ্রামের নাসির উদ্দিন (৫০) ও শিবপুর উপজেলার আজকিতলা গ্রামের ফুরকান মিয়া (৪২) ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে নরসিংদীর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।

শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফারজানা ইয়াছমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নরসিংদীর সদর হাসপাতাল ও নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালেল জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, কমপক্ষে দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতের মধ্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ৫৭ জন এবং নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে জেলার প্রায় সব উপজেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গুরুতর আহতরা হলেন- তাসপিয়া (১৮), শামীম (২০), রাকিব (২৪), আতিকুর (৭), ওমর (১০), সাইফুল (৩৬), মেহেরউন (২০), আবির (৬), নাসরিন (৩৭), ইয়ামিন (২২), মিথিলা (২০), তামিম (৬), হনুফা (৪০), বিল্লাল (৫০), জাকির (৩৫), মান্নান (১৬), ইমানুল (১৯), হিরা (৫), মাধবী (৫০), রাব্বী (২০), সাইদুর রহমান (১০), হালিমা (৪৫), দেলোয়ার (৪৫), বিন্দু (২৮), শামীম (৩৫), সূরভী (২০), জিহাদ (১৬), সাথী (২২), সোহেল (২২), মিনা (২৮), শাহাদাত (৩৫), রফিক (৩ মাস), সুমাইয়া (২০) প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন বলছে, নরসিংদী শহরের অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার নতুন বাজার গ্রামের ইশাক মিয়ার বাড়ি ভেঙে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ভূমিকম্পে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাব-স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় গ্রিডের সাবস্টেশনে যন্ত্রাংশ আগুনে পুড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পুরাতন রেল ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস শহীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এদিকে ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন এবং নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা আহতদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম বলেন, ভূমিকম্পে জেলায় বিভিন্ন জায়গায় আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। যেকোনো দুর্যোগে জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ড. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম জানান, ভূমিকম্পের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। এছাড়া কম-বেশী ৫৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান চারজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় আমি অবগত নই। তবে আমি শুনেছি, দেলোয়ার হোসেন আইসিইউতে রয়েছেন।

পুরান ঢাকায় তিনজনের মৃত্যু: পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে আব্দুল আজিজ রিমন (১২)। রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে তার পরিবার জানিয়েছে। আবদুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নারায়ণগঞ্জে শিশুর মৃত্যু: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামের ১০ মাসের এক শিশু মারা গেছে। এ সময় শিশুটির মা কুলসুম বেগমসহ (৩০) দুজন আহত হন। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে পাঁচজনসহ নিহত ৯, আহত ৬৬৫

নরসিংদী প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চারজনসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৬৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী ও ঘোড়াশালের মধ্যবর্তী এলাকায় এ ভূকম্পনের উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নরসিংদীতে ছাদ থেকে ইট পড়ে মারা গেছেন- দেলোয়ার হোসেন (৩৭), তার ছেলে ওমর ফারুক (৮), কাজম আলী ভূইয়া (৭০), নাসির উদ্দিন (৫০ ও ফুরকান মিয়া (৪২)। দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে। তারা নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ভাড়া থাকেন। এছাড়া কাজম আলী পলাশ উপজেলায় ও ফুরকান মিয়া শিবপুর উপজেলার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালের ভূমিকম্পে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি তৈরি হয়। এতে ঘর-বাড়ি কেঁপে ওঠে। এ সময় লোকজনকে ঘর থেকে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। প্রায় ২৬ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে নরসিংদীর সদর উপজেলার গাবতলী এলাকার একটি নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে ইট পড়ে দেলোয়ার হোসেন (৩৭), তার ছেলে ওমর ফারুক (৮) ও অজ্ঞাত আরেকজন আহত হন। গুরুতর আহত ওমর ফারুক ও দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।

এছাড়া পলাশ উপজেলার মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়ে মালিতা গ্রামের কাজম আলী ভূইয়া (৭০) মারা যান। পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা গ্রামের নাসির উদ্দিন (৫০) ও শিবপুর উপজেলার আজকিতলা গ্রামের ফুরকান মিয়া (৪২) ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে নরসিংদীর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।

শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফারজানা ইয়াছমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নরসিংদীর সদর হাসপাতাল ও নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালেল জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, কমপক্ষে দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতের মধ্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ৫৭ জন এবং নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে জেলার প্রায় সব উপজেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গুরুতর আহতরা হলেন- তাসপিয়া (১৮), শামীম (২০), রাকিব (২৪), আতিকুর (৭), ওমর (১০), সাইফুল (৩৬), মেহেরউন (২০), আবির (৬), নাসরিন (৩৭), ইয়ামিন (২২), মিথিলা (২০), তামিম (৬), হনুফা (৪০), বিল্লাল (৫০), জাকির (৩৫), মান্নান (১৬), ইমানুল (১৯), হিরা (৫), মাধবী (৫০), রাব্বী (২০), সাইদুর রহমান (১০), হালিমা (৪৫), দেলোয়ার (৪৫), বিন্দু (২৮), শামীম (৩৫), সূরভী (২০), জিহাদ (১৬), সাথী (২২), সোহেল (২২), মিনা (২৮), শাহাদাত (৩৫), রফিক (৩ মাস), সুমাইয়া (২০) প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন বলছে, নরসিংদী শহরের অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার নতুন বাজার গ্রামের ইশাক মিয়ার বাড়ি ভেঙে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ভূমিকম্পে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাব-স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় গ্রিডের সাবস্টেশনে যন্ত্রাংশ আগুনে পুড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পুরাতন রেল ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস শহীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এদিকে ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন এবং নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা আহতদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম বলেন, ভূমিকম্পে জেলায় বিভিন্ন জায়গায় আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। যেকোনো দুর্যোগে জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ড. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম জানান, ভূমিকম্পের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। এছাড়া কম-বেশী ৫৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান চারজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় আমি অবগত নই। তবে আমি শুনেছি, দেলোয়ার হোসেন আইসিইউতে রয়েছেন।

পুরান ঢাকায় তিনজনের মৃত্যু: পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে আব্দুল আজিজ রিমন (১২)। রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে তার পরিবার জানিয়েছে। আবদুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নারায়ণগঞ্জে শিশুর মৃত্যু: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামের ১০ মাসের এক শিশু মারা গেছে। এ সময় শিশুটির মা কুলসুম বেগমসহ (৩০) দুজন আহত হন। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।