ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাতৃকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে – জবি উপাচার্য

মো রাকিব হাসান,জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৭ Time View

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাত্রিকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হলে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে। ছেলে-মেয়েদের মাঝে মেলামেশা স্বাভাবিক করতে হবে। এবং স্বাভাবিক ভাবে নিতে হবে। মেয়েদের কখনই পণ্য হিসেবে ভাবা যাবে না।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি মাঝে মাঝে শুনি ক্যাম্পাসে ও বাসে ছাত্রীরা নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দোয়ার সব সময় খোলা।

উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো কর্তৃক কালচারাল এন্ড আর্ট এডুকেশন এর ড্রাফটকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। তাই আমাদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকেও হৃদয়ে ধারন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাতৃকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে কারন বাংলাদেশ কেবলমাত্র একটি ধর্ম ও একটি জাতিসত্তা নিয়ে দেশ নয়।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, বসন্ত আমাদের শিক্ষা দেয় সাম্যের সামাজিকতা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। ইদানীং আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের সমাজ থেকে নানান ধরনের উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব অনুষ্ঠান গুলো কম হওয়াতে মানুষ মানুষ আনন্দ ও মানসিক শান্তি থেকে বিমুখ হচ্ছে। এ কারনেই দেশে হোলি আর্টিজানের মত ঘটনা ঘটেছে। তাই শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় সমাজের প্রতিটা স্তরে এসব অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দিতে হবে ।

অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড.মোছাঃশামীম আরা। এ সময় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাকির হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাতৃকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে – জবি উপাচার্য

মো রাকিব হাসান,জবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাত্রিকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হলে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে। ছেলে-মেয়েদের মাঝে মেলামেশা স্বাভাবিক করতে হবে। এবং স্বাভাবিক ভাবে নিতে হবে। মেয়েদের কখনই পণ্য হিসেবে ভাবা যাবে না।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি মাঝে মাঝে শুনি ক্যাম্পাসে ও বাসে ছাত্রীরা নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দোয়ার সব সময় খোলা।

উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো কর্তৃক কালচারাল এন্ড আর্ট এডুকেশন এর ড্রাফটকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। তাই আমাদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকেও হৃদয়ে ধারন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বহুমাতৃকতা নিয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে কারন বাংলাদেশ কেবলমাত্র একটি ধর্ম ও একটি জাতিসত্তা নিয়ে দেশ নয়।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, বসন্ত আমাদের শিক্ষা দেয় সাম্যের সামাজিকতা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। ইদানীং আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের সমাজ থেকে নানান ধরনের উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব অনুষ্ঠান গুলো কম হওয়াতে মানুষ মানুষ আনন্দ ও মানসিক শান্তি থেকে বিমুখ হচ্ছে। এ কারনেই দেশে হোলি আর্টিজানের মত ঘটনা ঘটেছে। তাই শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় সমাজের প্রতিটা স্তরে এসব অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দিতে হবে ।

অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড.মোছাঃশামীম আরা। এ সময় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাকির হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।