নতুন আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণে খুশী গাইবান্ধার চরাঞ্চলের মানুষ
- Update Time : ০৯:৪১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
- / ১৫১ Time View
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত। এখানকার চরের মানুষ যেমন সহজ সরল তেমনই ভালো মানসিকতার। বিগত দিনগুলোতে এখানকার কাজিয়ার চরে টিন শেড আশ্রয়ণের প্রায় ২০০ টি ঘর ছিল। ২ যুগের বেশি সময় ব্যবহারের ফলে সেগুলো বসবাসের অনুপযোগী হলে সাংবাদিক সমাজ তাদের দুঃখ কষ্ট তুলে ধরলে পরে নতুন করে সেই ঘরগুলোর কাজের বরাদ্দ আসে।
সুন্দরগঞ্জের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডলের প্রচেষ্টায় ঘরের নির্মাণকাজের বাস্তব রুপ সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। নদী পেরিয়ে চরে ঘর নির্মাণ অনেক চ্যালেঞ্জের। ঘরের নির্মাণকাজের মান নিয়ে সন্তোষ্ট এখানকার স্থানীয় জনগণ।
স্থানীয় লুৎফর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অনেক ভালো মনের মানুষ। তাদের প্রচেষ্টায় আমরা নতুন করে ঘর পাচ্ছি। এখানে ঘরের কাজ খুব সুন্দরভাবে চলছে। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই আমাদের দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে যিনি দেশের এতো উন্নয়ন করেছেন যা অন্য সরকার করেনি।
আনন্দে চোখের জল মুছতে মুছতে লুৎফর রহমান আরও জানান, “জানেন ভাই আগে ভাঙ্গা ঘরে খুব কষ্ট হতো! বৃষ্টির দিনে বিছানাপত্র ভিজে যেত,রান্না-বান্না করা যেত না, এখন নতুন ঘর হচ্ছে আর কোন সমস্যা নাই আমাদের”।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, চরের মধ্যে নির্মাণাধীন ঘরগুলোর মান ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। অসহায় মানুষের জন্য ঘর করে দিতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে।
সচেতন মহল বলছেন, পিছিয়ে পড়া চরের মানুষ গুলোকে মুজিব শতবর্ষের ঘর একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে সিংহভাগ লোক নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে আশা করা যাচ্ছে।