ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

নতুন আঙ্গিকে আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’, রাতে লাইভ শো

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪১ Time View

আজ রাত ৮টায় এনিগমা টিভিতে প্রচার হবে ‘ব্যান্ড কার্নিভাল’

‘পপসম্রাট‘আজম খানের ব্যান্ড উচ্চারণ নতুন আঙ্গিকে কার্যক্রম শুরুর পর প্রথমবার সরাসরি গান শোনাতে আসছে রোববার। উচ্চারণের ব্যান্ড প্রমোটার এরশাদুল হক টিংকু বলেন, রোববার রাত ৮টায় এনিগমা টিভিতে প্রচার হবে তাদের লাইভ শো ‘ব্যান্ড কার্নিভাল’।

দশটি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন। গান শোনানোর পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে উচ্চারণ ব্যান্ডের সদস্যরা শোনাবেন আজম খানের জনপ্রিয় গানের পেছনের গল্প, স্মৃতি, সৃজনপ্রক্রিয়া এবং ব্যান্ডের দীর্ঘ সংগীতযাত্রার অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন ইয়াসির আরাফাত জুয়েল। এনিগমা টিভির পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে।

চৌদ্দ বছর পর সরাসরি শোনা যাবে উচ্চারণ ব্যান্ডের গান। এই উচ্চারণ ফিরেছে আজম খানের সেই পুরোনো সঙ্গীদের হাত দিয়ে। দুলাল জোহা, পিয়ারু খান, পার্থ মজুমদারসহ একদল অভিজ্ঞ সংগীতশিল্পী আবারও এক হয়েছেন ‘উচ্চারণকে’ নতুনভাবে মঞ্চে আনতে। ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের নতুন লাইনআপে রয়েছেন দুলাল জোহা (ভোকাল ও রিদম গিটার), পিয়ারু খান (ভোকাল ও পারকেশান), সেকান্দার আহমেদ খোকা (বেজ গিটার), পার্থ মজুমদার (লিড গিটার), প্রেম (কিবোর্ড) এবং বাপ্পী (ড্রামস)।

এত বছর পরে উচ্চারণের গানগুলো করার অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে ভোকাল ও রিদম গিটার দুলাল জোহা গ্লিটজেক বলেন, “আবেগ, অনুভূতি তো অনেক, আমি ৪০ বছরের উপরে আজম ভাইকে লালন করে যাচ্ছি। আমি আজম ভাইকে ছোট থেকেই চিনি।

“গান করলে আজম ভাইয়ের গানই করতাম, সবসময়। গানগুলো যখন গাই তখন মনে হয় আজম ভাই আমার সঙ্গেই আছেন। এই অনুভূতিটা ভেতর থেকে আসে। অনুশীলনে গানগুলো যখন করি সবাই মিলে খুব উপভোগ করি।”

যে সময়ে ব্যান্ড সংগীতকে বলা হত ‘অপসংস্কৃতি’, সে সময় স্রেফ জেদের বশে পাড়ায় পাড়ায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মঞ্চ বানিয়ে গান গাইতেন আজম খান।

একবার এক সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেছিলেন, “বন্ধুবান্ধবরা আমার গান ভালো বললেও আমি আসলে গায়ক না, সিরিয়াসও ছিলাম না।”

গান নিয়ে উদাসীন সেই মানুষটিই পরে বন্ধু নীলু, মনসুরের গিটার আর সাদেকের ড্রামসের সঙ্গে, ‘সিরিয়াস’ হয়ে ১৯৭২ সালে তৈরি করেন ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে শুরু হয় পপ মিউজিকের যাত্রা।

প্রথমবার মঞ্চে উঠে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড পরিবেশন করেছিলেন নিজেদের সম্বল চারটি মাত্র গান। এরপর ধীরে ধীরে আজম খান এবং তার গানের পরিচিতি বাড়ে।

১৯৭২ সালের শেষ দিকে ‘সালেকা মালেকা’ আর ‘হাই কোর্টের মাজারে’ গান দুটি দিয়েই নিজেদের প্রথম রেকর্ড বের করেন।

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে আজম খানের জন্ম। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। ২০১১ সালের ৫ জুন ক্যান্সারের কাছে হার মেনে অনন্তলোকে পাড়ি দেন এই তারকা।

তার কণ্ঠে ‘আলাল দুলাল’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘প্রেম চিরদিন দূরে দূরে এক হয়ে থাক না’, ‘আমার বঁধুয়া কী গাইতে জানে গান’ এমন সব গান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

আজম খানের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া আরও কিছু গান হল ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’, ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’।

 

Please Share This Post in Your Social Media

নতুন আঙ্গিকে আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’, রাতে লাইভ শো

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৪:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

‘পপসম্রাট‘আজম খানের ব্যান্ড উচ্চারণ নতুন আঙ্গিকে কার্যক্রম শুরুর পর প্রথমবার সরাসরি গান শোনাতে আসছে রোববার। উচ্চারণের ব্যান্ড প্রমোটার এরশাদুল হক টিংকু বলেন, রোববার রাত ৮টায় এনিগমা টিভিতে প্রচার হবে তাদের লাইভ শো ‘ব্যান্ড কার্নিভাল’।

দশটি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন। গান শোনানোর পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে উচ্চারণ ব্যান্ডের সদস্যরা শোনাবেন আজম খানের জনপ্রিয় গানের পেছনের গল্প, স্মৃতি, সৃজনপ্রক্রিয়া এবং ব্যান্ডের দীর্ঘ সংগীতযাত্রার অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন ইয়াসির আরাফাত জুয়েল। এনিগমা টিভির পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে।

চৌদ্দ বছর পর সরাসরি শোনা যাবে উচ্চারণ ব্যান্ডের গান। এই উচ্চারণ ফিরেছে আজম খানের সেই পুরোনো সঙ্গীদের হাত দিয়ে। দুলাল জোহা, পিয়ারু খান, পার্থ মজুমদারসহ একদল অভিজ্ঞ সংগীতশিল্পী আবারও এক হয়েছেন ‘উচ্চারণকে’ নতুনভাবে মঞ্চে আনতে। ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের নতুন লাইনআপে রয়েছেন দুলাল জোহা (ভোকাল ও রিদম গিটার), পিয়ারু খান (ভোকাল ও পারকেশান), সেকান্দার আহমেদ খোকা (বেজ গিটার), পার্থ মজুমদার (লিড গিটার), প্রেম (কিবোর্ড) এবং বাপ্পী (ড্রামস)।

এত বছর পরে উচ্চারণের গানগুলো করার অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে ভোকাল ও রিদম গিটার দুলাল জোহা গ্লিটজেক বলেন, “আবেগ, অনুভূতি তো অনেক, আমি ৪০ বছরের উপরে আজম ভাইকে লালন করে যাচ্ছি। আমি আজম ভাইকে ছোট থেকেই চিনি।

“গান করলে আজম ভাইয়ের গানই করতাম, সবসময়। গানগুলো যখন গাই তখন মনে হয় আজম ভাই আমার সঙ্গেই আছেন। এই অনুভূতিটা ভেতর থেকে আসে। অনুশীলনে গানগুলো যখন করি সবাই মিলে খুব উপভোগ করি।”

যে সময়ে ব্যান্ড সংগীতকে বলা হত ‘অপসংস্কৃতি’, সে সময় স্রেফ জেদের বশে পাড়ায় পাড়ায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মঞ্চ বানিয়ে গান গাইতেন আজম খান।

একবার এক সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেছিলেন, “বন্ধুবান্ধবরা আমার গান ভালো বললেও আমি আসলে গায়ক না, সিরিয়াসও ছিলাম না।”

গান নিয়ে উদাসীন সেই মানুষটিই পরে বন্ধু নীলু, মনসুরের গিটার আর সাদেকের ড্রামসের সঙ্গে, ‘সিরিয়াস’ হয়ে ১৯৭২ সালে তৈরি করেন ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে শুরু হয় পপ মিউজিকের যাত্রা।

প্রথমবার মঞ্চে উঠে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড পরিবেশন করেছিলেন নিজেদের সম্বল চারটি মাত্র গান। এরপর ধীরে ধীরে আজম খান এবং তার গানের পরিচিতি বাড়ে।

১৯৭২ সালের শেষ দিকে ‘সালেকা মালেকা’ আর ‘হাই কোর্টের মাজারে’ গান দুটি দিয়েই নিজেদের প্রথম রেকর্ড বের করেন।

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে আজম খানের জন্ম। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। ২০১১ সালের ৫ জুন ক্যান্সারের কাছে হার মেনে অনন্তলোকে পাড়ি দেন এই তারকা।

তার কণ্ঠে ‘আলাল দুলাল’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘প্রেম চিরদিন দূরে দূরে এক হয়ে থাক না’, ‘আমার বঁধুয়া কী গাইতে জানে গান’ এমন সব গান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

আজম খানের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া আরও কিছু গান হল ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’, ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’।