ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৩:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ১৩১ Time View

১৩ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম (৩৬)।

সোমবার (১৯ জুন) রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল এলাকার সৈয়দ জামানের ছেলে।

তিনি ২০১০ সালে আদালতের রায়ের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপনে ছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি শহিদুল ইসলাম ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকুরি করতেন । সেখানে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর ওই বাসায় কাজের কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। আসামি বাসার সকলের অগোচরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এতে ভিকটিম রাজি না হলে কৌশলে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করলে ভিকটিম অন্তঃসতত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বাসার মালিক বিষয়টি জানতে পারলে ভিকটিম ও আসামি শহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে আসামির সাথে বিবাহের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রী মহলের হস্তক্ষেপে শালিস ব্যর্থ হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে রংপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞ আদালত ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে আসামি শহিদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ (দশ হাজার) টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের রায়ের পর থেকে আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে র‍্যাব বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত আড়াইটার দিকে রংপুর নগরীর তাজহাট থানা এলাকায় শেখপাড়া গ্রাম অভিযান চালিয়ে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে বলে শিকার করে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আসামিকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০৩:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

১৩ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম (৩৬)।

সোমবার (১৯ জুন) রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল এলাকার সৈয়দ জামানের ছেলে।

তিনি ২০১০ সালে আদালতের রায়ের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপনে ছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি শহিদুল ইসলাম ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকুরি করতেন । সেখানে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর ওই বাসায় কাজের কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। আসামি বাসার সকলের অগোচরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এতে ভিকটিম রাজি না হলে কৌশলে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করলে ভিকটিম অন্তঃসতত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বাসার মালিক বিষয়টি জানতে পারলে ভিকটিম ও আসামি শহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে আসামির সাথে বিবাহের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রী মহলের হস্তক্ষেপে শালিস ব্যর্থ হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে রংপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞ আদালত ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে আসামি শহিদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ (দশ হাজার) টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের রায়ের পর থেকে আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে র‍্যাব বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত আড়াইটার দিকে রংপুর নগরীর তাজহাট থানা এলাকায় শেখপাড়া গ্রাম অভিযান চালিয়ে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে বলে শিকার করে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আসামিকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।