ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

ধর্ম নিয়ে ভারতীয় নেতাদের বাড়াবাড়ি না করতে আহ্বান

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬ Time View

সম্প্রতি ভারতে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটুক্তির রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশ থেকে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি খামার মোড়, বীকন মোড়, চারতলা মোড়, শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড় হয়ে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ভারতে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) নিয়ে মহারাষ্ট্রের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ নারায়ণ উস্কানিমূলক মন্তব্য ক‌রেন। এরই প্রতিবাদে বের করা বিক্ষোভ মিছিলে ‘তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবী মোস্তফা’; ‘বিশ্ব নবীর অপমান সইবে নারে মুসলমান’; ‘ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’; ‘বিচার চাই বিচার চাই রামগিরি-নিতশের বিচার চাই’; ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’-সহ বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, যেকোনো ধর্মের মনিষীদের নিয়ে অযথা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অবশ্যই নিচু মানসিকতার কাজ। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাগামহীন ভাবে মুসলমান ও ইসলাম ধর্মকেও হেয় করে একেরপর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে আসছেন। এ ধরণের মন্তব্যের কারণে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট হবার আশঙ্কা থাকে। তাদের এমন রুচিহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিচারের দাবি করছি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আমরা মনে করি কোনো ধর্মের বিষয়ে এ ধরণের বাড়াবাড়ি, উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।

এ সময় বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার যেন ভারতের এমন বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর ভারতের খবরদারি পছন্দ করে না। মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র ও ধর্ম নিয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা রুখতে হবে। বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ তার দেশের এক পুরোহিতের করা অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সমর্থন করেছেন। মুসলমানের কাছে প্রিয়নবীর সম্মান নিজের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন, মুহম্মদ রাজিমুজ্জামান হৃদয়, নাহিদ হাসান খন্দকার, হামিম মুনতাসির অহন, ইমতিয়াজ ইমতি, আলী হোসাইন সাইফ, রিফাত হাসান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

ধর্ম নিয়ে ভারতীয় নেতাদের বাড়াবাড়ি না করতে আহ্বান

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি ভারতে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটুক্তির রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশ থেকে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি খামার মোড়, বীকন মোড়, চারতলা মোড়, শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড় হয়ে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ভারতে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) নিয়ে মহারাষ্ট্রের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ নারায়ণ উস্কানিমূলক মন্তব্য ক‌রেন। এরই প্রতিবাদে বের করা বিক্ষোভ মিছিলে ‘তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবী মোস্তফা’; ‘বিশ্ব নবীর অপমান সইবে নারে মুসলমান’; ‘ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’; ‘বিচার চাই বিচার চাই রামগিরি-নিতশের বিচার চাই’; ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’-সহ বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, যেকোনো ধর্মের মনিষীদের নিয়ে অযথা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অবশ্যই নিচু মানসিকতার কাজ। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাগামহীন ভাবে মুসলমান ও ইসলাম ধর্মকেও হেয় করে একেরপর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে আসছেন। এ ধরণের মন্তব্যের কারণে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট হবার আশঙ্কা থাকে। তাদের এমন রুচিহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিচারের দাবি করছি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আমরা মনে করি কোনো ধর্মের বিষয়ে এ ধরণের বাড়াবাড়ি, উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।

এ সময় বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার যেন ভারতের এমন বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর ভারতের খবরদারি পছন্দ করে না। মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র ও ধর্ম নিয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা রুখতে হবে। বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ তার দেশের এক পুরোহিতের করা অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সমর্থন করেছেন। মুসলমানের কাছে প্রিয়নবীর সম্মান নিজের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন, মুহম্মদ রাজিমুজ্জামান হৃদয়, নাহিদ হাসান খন্দকার, হামিম মুনতাসির অহন, ইমতিয়াজ ইমতি, আলী হোসাইন সাইফ, রিফাত হাসান প্রমুখ।