ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল ঘোষণা, অভিষেক হচ্ছে মাহিদুলের ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব খালেদা জিয়া হাসপাতালে নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না : সালাহউদ্দিন আহমদ রূপগঞ্জে পেট্রল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু ব্যাংককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রীর বৈঠক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভায় ডিইউজে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের সিদ্ধান্ত গৃহীত

দেশ কোথায় যাচ্ছে, বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৫৩ Time View

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।’

একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটি দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপডেনশিয়াল ইভ্যাল্যুয়েশন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’ ‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইম্পসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

দেশ কোথায় যাচ্ছে, বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।’

একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটি দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপডেনশিয়াল ইভ্যাল্যুয়েশন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’ ‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইম্পসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’