ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস

দেশের তৈরি ডেঙ্গুর টিকার সফল পরীক্ষা আশা জাগায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৫০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৭১ Time View

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা নেই। তবে বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির তৈরি টিকা ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাসেই কার্যকর বলে শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এ টিকার অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গু টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকা আবিষ্কারও হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা সব ভাইরাসে কার্যকর নয়। তাতে অনেক সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি টিকার সফল পরীক্ষা সত্যিই আশা জাগায়।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।

আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরমধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি।

এছাড়া বেসরকারি ঔষধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করত পারবে।

তিনি বলেন, প্রতিমাসে ডেঙ্গু জন্য প্রয়োজন ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি এখন আর সেইভাবে হাহাকার ঘাটতি নাই। আমরা চাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাক।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী তো আছে। তবে জনসাধারণকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য তাড়াতাড়ি ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহিদ মালেক বলেন, জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে।

সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে। আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি আসলে সেটি কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশের তৈরি ডেঙ্গুর টিকার সফল পরীক্ষা আশা জাগায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৫:৫০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা নেই। তবে বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির তৈরি টিকা ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাসেই কার্যকর বলে শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এ টিকার অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গু টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকা আবিষ্কারও হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা সব ভাইরাসে কার্যকর নয়। তাতে অনেক সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি টিকার সফল পরীক্ষা সত্যিই আশা জাগায়।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।

আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরমধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি।

এছাড়া বেসরকারি ঔষধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করত পারবে।

তিনি বলেন, প্রতিমাসে ডেঙ্গু জন্য প্রয়োজন ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি এখন আর সেইভাবে হাহাকার ঘাটতি নাই। আমরা চাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাক।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী তো আছে। তবে জনসাধারণকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য তাড়াতাড়ি ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহিদ মালেক বলেন, জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে।

সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে। আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি আসলে সেটি কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।