দেশকে নতুন করে গড়তে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা

- Update Time : ০৪:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
- / ২৬ Time View
দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ জরুরি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
‘মহান মে দিবস ২০২৫’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। ড. ইউনূস বলেন, শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ও অধিকার আদায়ের ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সমাজে সংহতি গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে বাংলাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে- এটা আনন্দের বিষয়।
বাণীতে তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের মর্যাদা আদায়ের যে দাবি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে, তা আজও শ্রমজীবী মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, এই দিনটি শুধু একটি দিবস নয়, বরং এটি শ্রমিক অধিকারের আন্দোলনের প্রতীক। আমি তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এ অধিকার আদায়ে আত্মত্যাগ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এদেশ নতুন করে’ আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক এবং তাদের যৌথ প্রচেষ্টাই একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক, কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহণ ও প্রযুক্তি- প্রতিটি খাতের অগ্রগতির পেছনে শ্রমিক ও মালিকের মেধা ও নিরলস পরিশ্রম রয়েছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন রচিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মহান মে দিবসের পাশাপাশি আমরা ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫’ পালন করছি। শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু শ্রমিকদের অধিকারই নয়, এটি শিল্প ও অর্থনীতির উন্নয়নেরও অন্যতম শর্ত। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণ পুরো শিল্পখাত এবং দেশের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-যাত্রায় শ্রমিক ও মালিকের অংশীদারিত্ব দেশের অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।