ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদের স্মারকলিপি পেশ কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বৃদ্ধি বাসা থেকে প্রবেশপত্র আনতে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দি‌য়ে সহায়তা ক‌র‌লেন মান‌বিক পুলিশ ফেসবুকে ইসরাইলী পণ্য বিক্রির গুজব, নিরাপত্তাহীনতায় মালিক-কর্মচারীরা টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ছয় সহযোগী গ্রেফতার জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান অতিরিক্ত শুল্কে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি বেশি রংপুরে বিএনপিকর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতার নামে মামলা গাজায় সাংবাদিকসহ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

দৃষ্টিকটু ময়লা ভাগাড় সরাতে চান চট্টগ্রামের মেয়র

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  • Update Time : ০৬:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫১ Time View

নগরীতে খোলা জায়গায় থাকা ময়লা ফেলার ভাগাড় সরিয়ে সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার (এসটিএস) গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে ফিনল্যান্ডের হাবা গ্রুপের (HABA Group) তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মেয়রের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরেন।

এসময় মেয়র রেজাউল বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা অনেক সচেতন হওয়ায় চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক গোছানোভাবে হচ্ছে। তবে, আমাদের এখন সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। আমি চাই রাস্তায় থাকা ভাগাড়ের কারণে নাগরিকদের যে ভোগান্তি তা হ্রাসে ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে।

প্রতিনিধি দলে থাকা হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা, মার্কেটিং ডিরেকটর রোশদি ইব্রাহিম এবং জাহেদুল আলম রবিন জানান, চট্টগ্রামে ময়লা ফেলার প্রচলিত পদ্ধতিতে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর রাস্তার উপরে থাকা বর্জ্য সংগ্রহাগারে (এসটিএস) সে ময়লা ফেলা হয়।

পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যান। এ পদ্ধতিতে রাস্তার উপর থাকা এসটিএসের বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাগরিকরা কষ্ট পান এবং রাস্তার উপর থাকা বর্জ্য দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি তৈরি করে।

এ সমস্যা সমাধানে চসিক সম্মত হলে হাবাগ্রুপ ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার গড়ে তুলবে, ফলে ময়লা চোখেও পড়বেনা এবং দুর্গন্ধও ছড়াবেনা। এই আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহাকারে থাকবে হাইড্রোলিক প্রেশারের মাধ্যমে ময়লাকে সংকোচনের প্রযুক্তি। ফলে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে।

আধুনিক প্রযুক্তির এই বর্জ্য সংগ্রহাগার পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাবেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তখন সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাবে চসিকের কর্মীরা। পুরা প্রক্রিয়াটি একদিকে পরিবেশ বান্ধব, কমাবে নাগরিক দুর্ভোগ, সাশ্রয় করবে চসিকের জ্বালানি খরচ।

আলোচনার প্রেক্ষিতে মেয়র রেজাউল চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থান ও বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই করতে বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী।

Please Share This Post in Your Social Media

দৃষ্টিকটু ময়লা ভাগাড় সরাতে চান চট্টগ্রামের মেয়র

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Update Time : ০৬:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

নগরীতে খোলা জায়গায় থাকা ময়লা ফেলার ভাগাড় সরিয়ে সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার (এসটিএস) গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে ফিনল্যান্ডের হাবা গ্রুপের (HABA Group) তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মেয়রের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরেন।

এসময় মেয়র রেজাউল বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা অনেক সচেতন হওয়ায় চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক গোছানোভাবে হচ্ছে। তবে, আমাদের এখন সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। আমি চাই রাস্তায় থাকা ভাগাড়ের কারণে নাগরিকদের যে ভোগান্তি তা হ্রাসে ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে।

প্রতিনিধি দলে থাকা হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা, মার্কেটিং ডিরেকটর রোশদি ইব্রাহিম এবং জাহেদুল আলম রবিন জানান, চট্টগ্রামে ময়লা ফেলার প্রচলিত পদ্ধতিতে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর রাস্তার উপরে থাকা বর্জ্য সংগ্রহাগারে (এসটিএস) সে ময়লা ফেলা হয়।

পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যান। এ পদ্ধতিতে রাস্তার উপর থাকা এসটিএসের বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাগরিকরা কষ্ট পান এবং রাস্তার উপর থাকা বর্জ্য দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি তৈরি করে।

এ সমস্যা সমাধানে চসিক সম্মত হলে হাবাগ্রুপ ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার গড়ে তুলবে, ফলে ময়লা চোখেও পড়বেনা এবং দুর্গন্ধও ছড়াবেনা। এই আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহাকারে থাকবে হাইড্রোলিক প্রেশারের মাধ্যমে ময়লাকে সংকোচনের প্রযুক্তি। ফলে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে।

আধুনিক প্রযুক্তির এই বর্জ্য সংগ্রহাগার পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাবেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তখন সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাবে চসিকের কর্মীরা। পুরা প্রক্রিয়াটি একদিকে পরিবেশ বান্ধব, কমাবে নাগরিক দুর্ভোগ, সাশ্রয় করবে চসিকের জ্বালানি খরচ।

আলোচনার প্রেক্ষিতে মেয়র রেজাউল চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থান ও বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই করতে বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী।