ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মা আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ
ওসি প্রত্যাহার

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০১ Time View

যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম। ছবি সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম দেউলভোগ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিদর্শক (তদন্ত) আজাদ রহমান বলেন, গত শুক্রবার আসামি তরিকুলকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর তরিকুলসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তরিকুল নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে অভিযান চালিয়ে তরিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি শ্রীনগর থানাহাজতে আছেন।

তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার দেউলভোগ গ্রামের আবদুল মান্না ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে। তখন তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ রাজি না হলে হাফিজুল ইসলাম খান সন্ধ্যা সাতটার দিকে অন্য নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে বেরিয়ে যান।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর থানায় একটি মামলা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তরিকুল। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে। তখন তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ রাজি না হলে হাফিজুল ইসলাম খান সন্ধ্যা সাতটার দিকে অন্য নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে বেরিয়ে যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

থানাহাজত থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে। যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও ২০১ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন থানার উপপরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক।

এদিকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

অন্যদিকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন উপজেলার মত্তগ্রামের সিয়াম পাঠান (২৭), শুভ পাঠান (২৮) ও শ্যামসিদ্দি এলাকার হিমেল (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওসির দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই তাকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মারামারির একটি মামলার আসামি হিসেবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে থানাহাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেশিশক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে বাধা দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাঁর কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। একই সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, ‘ সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ আমরা পেয়েছি। আদেশ মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অন্যদিকে থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ের অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।এ সময় তারা ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।এ কারণে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে জরুরি সেবা ও এম্বুলেন্স চলাচল করতে দেওয়া হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান,এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল।পরে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্ররা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। পরে আবারো এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক ।

Please Share This Post in Your Social Media

ওসি প্রত্যাহার

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম দেউলভোগ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিদর্শক (তদন্ত) আজাদ রহমান বলেন, গত শুক্রবার আসামি তরিকুলকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর তরিকুলসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তরিকুল নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে অভিযান চালিয়ে তরিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি শ্রীনগর থানাহাজতে আছেন।

তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার দেউলভোগ গ্রামের আবদুল মান্না ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে। তখন তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ রাজি না হলে হাফিজুল ইসলাম খান সন্ধ্যা সাতটার দিকে অন্য নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে বেরিয়ে যান।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর থানায় একটি মামলা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তরিকুল। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে। তখন তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ রাজি না হলে হাফিজুল ইসলাম খান সন্ধ্যা সাতটার দিকে অন্য নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে বেরিয়ে যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

থানাহাজত থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে। যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও ২০১ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন থানার উপপরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক।

এদিকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

অন্যদিকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন উপজেলার মত্তগ্রামের সিয়াম পাঠান (২৭), শুভ পাঠান (২৮) ও শ্যামসিদ্দি এলাকার হিমেল (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওসির দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই তাকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মারামারির একটি মামলার আসামি হিসেবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে থানাহাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেশিশক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে বাধা দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাঁর কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। একই সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, ‘ সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ আমরা পেয়েছি। আদেশ মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অন্যদিকে থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ের অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।এ সময় তারা ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।এ কারণে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে জরুরি সেবা ও এম্বুলেন্স চলাচল করতে দেওয়া হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান,এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল।পরে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্ররা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। পরে আবারো এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক ।