ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটে তুরাব চত্তরে মানববন্ধনে বক্তারা

তুরাব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০২:৩০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬ Time View

সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিকরা।

এ দাবিতে শনিবার বিকেলে নগরের এটিএম তুরাব চত্বরে (সাবেক কোর্ট পয়েন্ট) সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তুরাব হত্যাকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে। অথচ, তারা এই শহরেই ছিল। তুরাবকে কারা হত্যা করেছে তা একেবারেই পরিষ্কার। সে দিনের ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করা সহজ। আমাদের সহকর্মীদের কাছেও এসব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। বক্তারা তুরাব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেন। তুরাব হত্যার পেছনের ইন্ধনকারীদেরও খুঁজে করতে অন্তর্বতীকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানান।

দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর-এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবীদ কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান আতা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিস রহমান, দৈনিক জৈন্তা বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মো. ফয়সল আলম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান ও সাংবাদিক সাইফুর রহমান তালুকদার।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে সারাদেশে গণমাধ্যমের মুখ চেপে রাখার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তুরাব হত্যা তারই অংশ বলে আমরা মনে করি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তার অবসান হয়েছে। কিন্তু তুরাবসহ সারাদেশে যে সব হত্যাকা- ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা না গেলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে না।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে ৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলুম-অত্যাচারের সঠিক চিত্র যাতে গণমাধ্যমে ওঠে না আসে সেটি ছিল তাদের লক্ষ্য। এভাবে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমের ঠুটি চেপে ধরতে পেশাদার সাংবাদিকদের ভয় দেখানো ও তাদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হয়েছে। এর শুরু সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার না হওয়ায় একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বক্তারা সাংবাদিকদের জন্য একটি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সিলেটের কো অডিনেটর সাংবাদিক মো.মুহিবুর রহমান, শেখ আশরাফুল ইসলাম নাসির, দুলাল হোসেন, নাজমুল কবির পাবেল, এইচ এম আরিফ, শুয়াইবুল হাসান, দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো এমজেএইচ জামিল, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া মারুফ, সাংবাদিক মুনশী ইকবাল, অমিতা সিনহা, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মুহিদ দিদার, এমএ ওয়াহিদ চৌধুরী, রজত চক্রবর্তী, উৎফুল বড়ুয়া, রাসেদুল হাসান সুয়েব, শিপন আহমদ, আজমল আলী, রেজা রুবেল, মিনাল কান্তি দাস, আহসান হাবিব, রেজওয়ান আহমদ, কৃতিশ তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফ উল্লাহ, রুবলে মিয়া, তারেক চৌধুরী রাহেল, ফারহান আহমদ চৌধুরী, রাধে মল্লিক তপন, মো. সুহেল মিয়া, ফারুক মিয়া, ফারুক আহমদ, কামাল হোসেন মিঠু, শাহিনুর রহমান জুয়েল, লতিফুর রহমান উজ¦ল, মারুফ হাসান, রফিক আহমদ, শিপন চন্দ্র জয়, মিজান মোহাম্মদ, কেএম রায়হান, মেহদী হাসার রণি, রুবেল আহমদ, সাকিব আহমদ, তারেক আহমদ, নিয়াজুল হক, জয়দীপ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আলী ও জাবেদ আহমদ ইমরান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরের বন্দর বাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। হত্যার বিচার চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করে তার বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর)।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে তুরাব চত্তরে মানববন্ধনে বক্তারা

তুরাব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০২:৩০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিকরা।

এ দাবিতে শনিবার বিকেলে নগরের এটিএম তুরাব চত্বরে (সাবেক কোর্ট পয়েন্ট) সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তুরাব হত্যাকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে। অথচ, তারা এই শহরেই ছিল। তুরাবকে কারা হত্যা করেছে তা একেবারেই পরিষ্কার। সে দিনের ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করা সহজ। আমাদের সহকর্মীদের কাছেও এসব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। বক্তারা তুরাব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেন। তুরাব হত্যার পেছনের ইন্ধনকারীদেরও খুঁজে করতে অন্তর্বতীকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানান।

দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর-এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবীদ কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান আতা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিস রহমান, দৈনিক জৈন্তা বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মো. ফয়সল আলম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান ও সাংবাদিক সাইফুর রহমান তালুকদার।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে সারাদেশে গণমাধ্যমের মুখ চেপে রাখার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তুরাব হত্যা তারই অংশ বলে আমরা মনে করি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তার অবসান হয়েছে। কিন্তু তুরাবসহ সারাদেশে যে সব হত্যাকা- ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা না গেলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে না।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে ৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলুম-অত্যাচারের সঠিক চিত্র যাতে গণমাধ্যমে ওঠে না আসে সেটি ছিল তাদের লক্ষ্য। এভাবে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমের ঠুটি চেপে ধরতে পেশাদার সাংবাদিকদের ভয় দেখানো ও তাদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হয়েছে। এর শুরু সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার না হওয়ায় একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বক্তারা সাংবাদিকদের জন্য একটি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সিলেটের কো অডিনেটর সাংবাদিক মো.মুহিবুর রহমান, শেখ আশরাফুল ইসলাম নাসির, দুলাল হোসেন, নাজমুল কবির পাবেল, এইচ এম আরিফ, শুয়াইবুল হাসান, দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো এমজেএইচ জামিল, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া মারুফ, সাংবাদিক মুনশী ইকবাল, অমিতা সিনহা, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মুহিদ দিদার, এমএ ওয়াহিদ চৌধুরী, রজত চক্রবর্তী, উৎফুল বড়ুয়া, রাসেদুল হাসান সুয়েব, শিপন আহমদ, আজমল আলী, রেজা রুবেল, মিনাল কান্তি দাস, আহসান হাবিব, রেজওয়ান আহমদ, কৃতিশ তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফ উল্লাহ, রুবলে মিয়া, তারেক চৌধুরী রাহেল, ফারহান আহমদ চৌধুরী, রাধে মল্লিক তপন, মো. সুহেল মিয়া, ফারুক মিয়া, ফারুক আহমদ, কামাল হোসেন মিঠু, শাহিনুর রহমান জুয়েল, লতিফুর রহমান উজ¦ল, মারুফ হাসান, রফিক আহমদ, শিপন চন্দ্র জয়, মিজান মোহাম্মদ, কেএম রায়হান, মেহদী হাসার রণি, রুবেল আহমদ, সাকিব আহমদ, তারেক আহমদ, নিয়াজুল হক, জয়দীপ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আলী ও জাবেদ আহমদ ইমরান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরের বন্দর বাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। হত্যার বিচার চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করে তার বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর)।