ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মা আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ
মির্জা ফখরুল ইসলাম

তাহলে কি জনগণ পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে?

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৯ Time View

অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক স্বাধীনতার প্রতীক শহীদ আসাদের ৫৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, দেশে নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন যে শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তা নয়, গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থা নির্ধারণের জন্য নির্বাচনের মধ্যদিয়ে একটি পথ সৃষ্টি করা। একটি দরজা পার হওয়া।

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের কথা বলছে, তাহলে কি চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করবো? তাহলে তো জনগণ ভোট থেকে বঞ্চিত হবে।’

অনেক বছর মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচন দ্রুত না হলে জনগণের চাহিদা পূরণ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যে ব্যবস্থা ছিল সেই ব্যবস্থাতেই সচিবালয় থেকে শুরু করে সবখানে সেভাবেই চলছে। স্কুল-কলেজে সেরকম লেখাপড়া হচ্ছে না। প্রায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময় পরিবর্তন এত অল্প সময়ে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হতে পারে। এ জন্য আমরা বলেছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। দ্রুত নির্বাচন হলে যে দল ক্ষমতায় আসবে, যে কমিটমেন্টগুলো (প্রতিশ্রুতি) থাকবে, তারা সেগুলো পালন করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে এবং দেশের সংকটকালে এই সংকট উত্তরণে তারা কাজ করবেন।

এদিন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হবে। এর কারণ আছে। বর্তমান সরকারের কিছু কিছু বিষয়ে মনে হচ্ছে তারা নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। বিএনপির আশা নিরপেক্ষতা পালন করবেন ড. ইউনূসের সরকার। দেশের সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করবেন।’

নানা রকম তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পট পরিবর্তনের পর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় দেশের জনগণ৷ মৌলিক অধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই তারা চান। নির্বাচন দ্রুত হোক। কেন না ১৫ বছর দেশের মানুষ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত। এখন তারা ভোট দিতে চান।’

নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচিত হলো তা নিয়ে সমস্যা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা রকম প্রত্যাশা আছে মানুষের। কিন্তু সেরকম কোনো ইঙ্গিত এই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

মির্জা ফখরুল ইসলাম

তাহলে কি জনগণ পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে?

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৩:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক স্বাধীনতার প্রতীক শহীদ আসাদের ৫৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, দেশে নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন যে শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তা নয়, গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থা নির্ধারণের জন্য নির্বাচনের মধ্যদিয়ে একটি পথ সৃষ্টি করা। একটি দরজা পার হওয়া।

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের কথা বলছে, তাহলে কি চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করবো? তাহলে তো জনগণ ভোট থেকে বঞ্চিত হবে।’

অনেক বছর মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচন দ্রুত না হলে জনগণের চাহিদা পূরণ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যে ব্যবস্থা ছিল সেই ব্যবস্থাতেই সচিবালয় থেকে শুরু করে সবখানে সেভাবেই চলছে। স্কুল-কলেজে সেরকম লেখাপড়া হচ্ছে না। প্রায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময় পরিবর্তন এত অল্প সময়ে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হতে পারে। এ জন্য আমরা বলেছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। দ্রুত নির্বাচন হলে যে দল ক্ষমতায় আসবে, যে কমিটমেন্টগুলো (প্রতিশ্রুতি) থাকবে, তারা সেগুলো পালন করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে এবং দেশের সংকটকালে এই সংকট উত্তরণে তারা কাজ করবেন।

এদিন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হবে। এর কারণ আছে। বর্তমান সরকারের কিছু কিছু বিষয়ে মনে হচ্ছে তারা নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। বিএনপির আশা নিরপেক্ষতা পালন করবেন ড. ইউনূসের সরকার। দেশের সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করবেন।’

নানা রকম তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পট পরিবর্তনের পর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় দেশের জনগণ৷ মৌলিক অধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই তারা চান। নির্বাচন দ্রুত হোক। কেন না ১৫ বছর দেশের মানুষ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত। এখন তারা ভোট দিতে চান।’

নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচিত হলো তা নিয়ে সমস্যা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা রকম প্রত্যাশা আছে মানুষের। কিন্তু সেরকম কোনো ইঙ্গিত এই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।