ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক
তুচ্ছ ঘটনায় ভয়ংকর আক্রমণ

তরুণ প্রজন্ম কি বেপরোয়া হয়ে উঠছে

মোহাম্মদ আলম
  • Update Time : ০৩:০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৮৬ Time View

প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে যেভাবে হামলার শিকার হলেন এক দম্পতি, যা রীতিমত ভয়ংকর সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি।

দূর্বৃত্তরা এত সাহস পায় কো থেকে! এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আর কারও বিপদে এগিয়ে আসার সাহস দেখাবে না। পরিস্থিতি এমন যে, অন্যায় দেখেও মুখ বুজে থাকা ছাড়া গতি নেই। যদিও জনতা আক্রমনকারীদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। কিন্তু আহত দম্পতির ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। রামদা’র কোপে আহত দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুই যুবক বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেল দিয়ে একটি রিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাযাত্রি একটি শিশু আহত হন। প্রতিবাদ করায় রিকশাচালকের উপর চড়াও হয় দূর্বৃত্ত ওই যুবকরা। পাশ দিয়ে অপর একটি মোটর সাইকেল নিয়ে অতিক্রম করার সময় ওই সাহসী দম্পতি রিকশাচালকের সাথে সাথে প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকরা নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রতিবাদি দম্পতির উপর হামলা করে। দুইজনকেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

এমন বেপরোয়া কর্মকান্ড দেশে প্রতিদিনই ঘটছে। ২০ থেকে ২৫ বছরের যুবকদের কিশোর গ্যাং বলে চালানো যাবে না। রাজপথে প্রকাশ্যে এসব ঘটনা দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়ংকর প্রতিচ্ছবি। তুচ্ছ ঘটনায় হামলে পরার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি স্কুল কলেজে শিক্ষাগুরুর সঙ্গে অসদাচরণ বেড়েছে। তরুণরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথেও র্দুব্যবহার করতে কুন্ঠা করছে না। এসবতো তরুণদের কাজ না। তরুণ প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যত। তরুণ প্রজন্মের একটি গোষ্ঠির মনস্তাত্বিক বিকার সৃষ্টি হয়েছে। ওই গোষ্ঠি ধরেই নিয়েছে তারা যা খুশি করতে পারে।

এতদিন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের ছত্রছায়া রক্ষাকবজ হিসেবে ছিল। ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হলেও ফ্যাসিজমের রুপ বদলায়নি। দূর্বৃত্তরা বরাবরের মতই মাথাচাড়া দিয়েছে। আরও ভয়ংকর এবং বিধ্বংশি রূপে। এমন অসিহষ্ণু আচরণ চলতে থাকলে শুধু আইনশৃঙ্খলা না সব কিছু ভেঙে পড়বে।

আশার কথা হচ্ছে, উত্তরার ঘটনাস্থলে জনতা এগিয়ে এসেছে। সবক্ষেত্রে এমন হয় না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধি যেন বুঝতে পারে সে পার পাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সদিচ্ছা দেখাচ্ছে। কোন বিশেষ গোষ্ঠি বা দলের প্রতি অনুকম্পাও তাদের নেই বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ চরম পরিস্থিতিতেও আশাবাদি এবং প্রত্যাশা জিয়ে রাখতে জানে।

Please Share This Post in Your Social Media

তুচ্ছ ঘটনায় ভয়ংকর আক্রমণ

তরুণ প্রজন্ম কি বেপরোয়া হয়ে উঠছে

মোহাম্মদ আলম
Update Time : ০৩:০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে যেভাবে হামলার শিকার হলেন এক দম্পতি, যা রীতিমত ভয়ংকর সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি।

দূর্বৃত্তরা এত সাহস পায় কো থেকে! এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আর কারও বিপদে এগিয়ে আসার সাহস দেখাবে না। পরিস্থিতি এমন যে, অন্যায় দেখেও মুখ বুজে থাকা ছাড়া গতি নেই। যদিও জনতা আক্রমনকারীদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। কিন্তু আহত দম্পতির ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। রামদা’র কোপে আহত দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুই যুবক বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেল দিয়ে একটি রিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাযাত্রি একটি শিশু আহত হন। প্রতিবাদ করায় রিকশাচালকের উপর চড়াও হয় দূর্বৃত্ত ওই যুবকরা। পাশ দিয়ে অপর একটি মোটর সাইকেল নিয়ে অতিক্রম করার সময় ওই সাহসী দম্পতি রিকশাচালকের সাথে সাথে প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকরা নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রতিবাদি দম্পতির উপর হামলা করে। দুইজনকেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

এমন বেপরোয়া কর্মকান্ড দেশে প্রতিদিনই ঘটছে। ২০ থেকে ২৫ বছরের যুবকদের কিশোর গ্যাং বলে চালানো যাবে না। রাজপথে প্রকাশ্যে এসব ঘটনা দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়ংকর প্রতিচ্ছবি। তুচ্ছ ঘটনায় হামলে পরার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি স্কুল কলেজে শিক্ষাগুরুর সঙ্গে অসদাচরণ বেড়েছে। তরুণরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথেও র্দুব্যবহার করতে কুন্ঠা করছে না। এসবতো তরুণদের কাজ না। তরুণ প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যত। তরুণ প্রজন্মের একটি গোষ্ঠির মনস্তাত্বিক বিকার সৃষ্টি হয়েছে। ওই গোষ্ঠি ধরেই নিয়েছে তারা যা খুশি করতে পারে।

এতদিন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের ছত্রছায়া রক্ষাকবজ হিসেবে ছিল। ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হলেও ফ্যাসিজমের রুপ বদলায়নি। দূর্বৃত্তরা বরাবরের মতই মাথাচাড়া দিয়েছে। আরও ভয়ংকর এবং বিধ্বংশি রূপে। এমন অসিহষ্ণু আচরণ চলতে থাকলে শুধু আইনশৃঙ্খলা না সব কিছু ভেঙে পড়বে।

আশার কথা হচ্ছে, উত্তরার ঘটনাস্থলে জনতা এগিয়ে এসেছে। সবক্ষেত্রে এমন হয় না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধি যেন বুঝতে পারে সে পার পাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সদিচ্ছা দেখাচ্ছে। কোন বিশেষ গোষ্ঠি বা দলের প্রতি অনুকম্পাও তাদের নেই বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ চরম পরিস্থিতিতেও আশাবাদি এবং প্রত্যাশা জিয়ে রাখতে জানে।