ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

ঢাবিসহ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে রিফার স্বপ্ন অনিশ্চিত

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৭:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৫২ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে নিলেও রিফা খাতুনের ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা। অভাব অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া রিফা এখনো আর্থিক সমস্যার কারণে ঢাবিতে ভর্তি হতে পারেনি।

রিফা খাতুন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক মহদীপুর গ্রামের মৃত বজলুর রশীদের মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে রিফা সবার ছোট। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১০৩তম করে নিয়েছে মেধাবী রিফা। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে রিফার গৃহিনী মা লাভলী বেগম। তার মা হাঁস-মুরগি লালন পালন করে মেধাবী মেয়েকে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন।

রিফা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরো ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। ছোটবেলা থেকেই রিফা শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছে।

টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রিফা। স্বপ্ন ছিল এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে চিকিৎসক হবার। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে খরচ অনেক বিধায় ভর্তি হন রংপুর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগে। সেখানে শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

রিফার মা লাভলী বেগম বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু ভর্তি হতে অনেক টাকা লাগায় তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থের অভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে এ কথা ভাবতেই পারছি না। তারপরেও ঢাকায় থেকে পড়াশুনা করতে প্রতি মাসে অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না।

রিফার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাস করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করার। কিন্তু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হতে বসেছে। কেউ একটু এগিয়ে আসলে পূরণ হবে তার স্বপ্ন। এ জন্য সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোগিতার আশায় আছেন রিফা খাতুন ও তার পরিবার।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিসহ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে রিফার স্বপ্ন অনিশ্চিত

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০৭:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে নিলেও রিফা খাতুনের ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা। অভাব অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া রিফা এখনো আর্থিক সমস্যার কারণে ঢাবিতে ভর্তি হতে পারেনি।

রিফা খাতুন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক মহদীপুর গ্রামের মৃত বজলুর রশীদের মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে রিফা সবার ছোট। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১০৩তম করে নিয়েছে মেধাবী রিফা। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে রিফার গৃহিনী মা লাভলী বেগম। তার মা হাঁস-মুরগি লালন পালন করে মেধাবী মেয়েকে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন।

রিফা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরো ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। ছোটবেলা থেকেই রিফা শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছে।

টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রিফা। স্বপ্ন ছিল এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে চিকিৎসক হবার। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে খরচ অনেক বিধায় ভর্তি হন রংপুর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগে। সেখানে শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

রিফার মা লাভলী বেগম বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু ভর্তি হতে অনেক টাকা লাগায় তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থের অভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে এ কথা ভাবতেই পারছি না। তারপরেও ঢাকায় থেকে পড়াশুনা করতে প্রতি মাসে অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না।

রিফার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাস করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করার। কিন্তু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হতে বসেছে। কেউ একটু এগিয়ে আসলে পূরণ হবে তার স্বপ্ন। এ জন্য সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোগিতার আশায় আছেন রিফা খাতুন ও তার পরিবার।