ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
- Update Time : ০৫:২৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
- / ২৩৮ Time View
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
হাইকোর্টের নির্দেশে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের একটি কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বরে অসংগতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেওয়ার অভিযোগে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন— আইন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সীমা জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত ৭ জুন দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুল হাইকোর্টে এ নিয়ে রিট দায়ের করেন।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
এছাড়া পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ নিষ্পত্তি করা এবং প্রভিশনাল (সাময়িক)/মূল সার্টিফিকেট প্রদান স্থগিত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে, এ বিষটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির এটা একটা বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি নম্বর কম পায় তাহলে সে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এটা তার অধিকার। কিন্তু তারা এটা না করে বহু জায়গায় গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটি আর দেখিনি আমি।
তিনি বলেন, আমি বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে কাউকে কম নম্বর দেইনি। তারা কপি-পেস্ট করায় নম্বর কম পেয়েছে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তারা নয়… এ কারণে ২০-২১ জন শিক্ষার্থী নম্বর কম পেয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী কপি-পেস্ট করলে কিংবা ভালো না লিখলেও নম্বর দিতেই হবে এটা তো অস্বাভাবিক বিষয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নেই।
উল্লেখ্য, সিআরএম ৪১১ নম্বর কোর্সের (লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল টেরোরিজম) মিডটার্ম পরীক্ষায় নম্বরে অসংগতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে। কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছিলেন, অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার হওয়ায় তাদের ফলাফল খারাপ হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়