ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ৭

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৯ Time View

নরসিংদীর শিবপুরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টার দিকে শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবীর হোসেন।

ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সাভার থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সিলেট যাচ্ছিলো। এ সময় মাইক্রোবাসটি শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫ জন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও ২ জন মারা যান। আহত বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইটাখোলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সিলেট থেকে আশা পাথর বোঝাই ট্রাকটি অন্য আরেকটি গাড়িকে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় সামনে চলে আসা মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটির চালকসহ মোট ৭ জন নিহত হয়।  এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ২ জন সহ মোট ৭ জন মারা গেছে। চালক আহত অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অন্যান্যদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়ে

নিহত সাতজন হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার লতিফপুর গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমীন (২৭), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে মীর নাজমুল হক ওরফে সবুজ (৩০), মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩৭), ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পারগোপারপুর গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আল আমীন হাওলাদার (২৯), জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার ধারাবর্ষা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৬), বরিশালের মুলাদি থানার মুলাদি গ্রামের মো. মজিবর সিকদারের ছেলে রায়হান সিকদার ওরফে আরিয়ান (২৪) ও কুষ্টিয়ার সদর থানার খাজানগর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০)।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ছয়জনকে রাতে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এ ছাড়া আহত চারজনের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সাকি, পারভেজ ও দোয়েল। দুর্ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাস চালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আহত ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে তারা সকলেই আশুলিয়ার এসবি নিটিং নামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল। েসিলেট ভ্রমনের উদ্দেশ্যে তারা রওনা দেয়। জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে তারা সবাই একসঙ্গেই চলাফেরা করতেন।

সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন এসবি নিটিং কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. শিহাব উদ্দীন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, চালক ও আরেকজন ছাড়া মাইক্রোবাসটিতে অবস্থান করা নয়জনই তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তাদের মধ্যে আটজনই প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ডাইজার ও একজন ফেব্রিকস সেকশনের স্টোরকিপার।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ কবির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস ও পাথরবোঝাই ট্রাক জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকটির চালকও আটক আছেন। নানা মাধ্যমে হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ৭

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৮:০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

নরসিংদীর শিবপুরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টার দিকে শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবীর হোসেন।

ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সাভার থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সিলেট যাচ্ছিলো। এ সময় মাইক্রোবাসটি শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫ জন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও ২ জন মারা যান। আহত বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইটাখোলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সিলেট থেকে আশা পাথর বোঝাই ট্রাকটি অন্য আরেকটি গাড়িকে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় সামনে চলে আসা মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটির চালকসহ মোট ৭ জন নিহত হয়।  এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ২ জন সহ মোট ৭ জন মারা গেছে। চালক আহত অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অন্যান্যদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়ে

নিহত সাতজন হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার লতিফপুর গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমীন (২৭), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে মীর নাজমুল হক ওরফে সবুজ (৩০), মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩৭), ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পারগোপারপুর গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আল আমীন হাওলাদার (২৯), জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার ধারাবর্ষা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৬), বরিশালের মুলাদি থানার মুলাদি গ্রামের মো. মজিবর সিকদারের ছেলে রায়হান সিকদার ওরফে আরিয়ান (২৪) ও কুষ্টিয়ার সদর থানার খাজানগর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০)।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ছয়জনকে রাতে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এ ছাড়া আহত চারজনের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সাকি, পারভেজ ও দোয়েল। দুর্ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাস চালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আহত ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে তারা সকলেই আশুলিয়ার এসবি নিটিং নামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল। েসিলেট ভ্রমনের উদ্দেশ্যে তারা রওনা দেয়। জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে তারা সবাই একসঙ্গেই চলাফেরা করতেন।

সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন এসবি নিটিং কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. শিহাব উদ্দীন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, চালক ও আরেকজন ছাড়া মাইক্রোবাসটিতে অবস্থান করা নয়জনই তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তাদের মধ্যে আটজনই প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ডাইজার ও একজন ফেব্রিকস সেকশনের স্টোরকিপার।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ কবির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস ও পাথরবোঝাই ট্রাক জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকটির চালকও আটক আছেন। নানা মাধ্যমে হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।